২০ অগাস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে যাত্রা শুরু করে ‘স্যামসাং পে’। শুরুতে কেবল নিজের দেশের বাজারেই মোবাইল পেমেন্ট সেবাটি সীমাবদ্ধ রেখেছিল স্যামসাং।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার ‘স্যামসাং পে’-এর সাফল্যের খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে স্যামসাং। ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১০ শতাংশ মোবাইল পেমেন্ট সেবাটি প্রতিদিনই ব্যবহার করছেন এবং প্রথম এক মাসে ১৫ লাখেরও বেশি লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে সেবাটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে স্যামসাং পে প্রধান ইনজং রিহ বলেন, “যদিও স্যামসাং পে-এর ব্যবহার নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য ক্রমশ আপডেট করা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত আমরা যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাদের প্রত্যাশার বাইরে ছিল।”।
“আমরা জানতাম যে স্যামসাং পে ‘গেইম চেঞ্জার’ হবে। এখন ইউজার ডেটার মাধ্যমে ক্রেতা ও গ্রাহকদের আচরণের উপর এর প্রভাব দেখতে পারছি আমরা।”— যোগ করেন রিহ।
দক্ষিণ কোরিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ‘স্যামসাং পে’-এর অভিষেক হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি ‘অ্যাপল পে’ এবং গুগলের ‘অ্যান্ড্রয়েড পে’ মোবাইল পেমেন্ট সেবার বিপরীতে লড়াই করবে ‘স্যামসাং পে’।
শীর্ষ দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপরীতে ‘স্যামসাং পে’ অন্তত এক দিক দিয়ে এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছে সিনেট। এনএফসি সংযোগ প্রয়োজন ‘অ্যাপল পে’ এবং ‘অ্যান্ড্রয়েড পে’ ব্যবহারের জন্য। অন্যদিকে এনএফসি সংযোগ ছাড়াই কাজ করতে পারে ‘স্যামসাং পে’।