দুইশ’ কোটি লাইন কোডের গুগল

নিজেদের ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে আনুমানিক দুইশ’ কোটি ‘লাইন অফ কোড’-এর সফটওয়্যারের উপর নির্ভর ওয়েব জায়ান্ট গুগল। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে জানা গেছে এই তথ্য।

আজরাফ আল মূতীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2015, 12:16 PM
Updated : 17 Sept 2015, 12:16 PM

এক প্রতিবেদনে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ওয়্যার্ড ডটকম জানিয়েছে, সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে আয়োজিত এক প্রকৌশলী সম্মেলনে গুগল কর্মকর্তা র‌্যাচেল পটভিন এই তথ্য জানান।

পটভিন জানিয়েছেন, গুগল সার্চ থেকে শুরু করে জিমেইল, গুগল ম্যাপস, ইউটিউব, গুগল ডকস, গুগল প্লাস, গুগল ক্যালেন্ডার ইত্যাদি যাবতীয় ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, সেগুলো আনুমানিক দুইশ’ কোটি ‘লাইন অফ কোড’-এর সাহায্য নিয়ে থাকে।

ওয়্যার্ডের তথ্য অনুযায়ী, গুগলের সব ইন্টারনেট সেবা ওই দুইশ’ কোটি লাইনের কোডের উপর নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে এবং প্রতিষ্ঠানটি এক স্থানেই সব কোড সংরক্ষণ করে থাকে। আর ওই কোড সংরক্ষণাগারে গুগলের ২৫ হাজার প্রকৌশলীর সবাই প্রবেশ করতে পারেন।

পটভিন এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ কোড সংরক্ষণাগার যা এখন পর্যন্ত সচল আছে। কোডগুলো ব্যবহারের জন্য গুগল ‘পাইপার’ নামের একটি নিজস্ব ‘ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেম’-ও গড়ে তুলেছে বলে জানিয়েছে ওয়্যার্ড ডটকম।

পটভিন জানিয়েছেন, এই নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াটি গুগলের দশটি ডেটা সেন্টারের মধ্যে আবর্তিত হতে থাকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলীদের যখন সফটওয়্যারের প্রয়োজন পড়ে তা সঠিকভাবে তার কম্পিউটারে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বটিও পাইপার পালন করে থাকে। তবে গুগলের সব প্রকৌশলীর দুইশ’ কোটি লাইন কোড-এর সফটওয়্যারের অ্যাক্সেস পান না বলে জানিয়েছেন পটভিন, কারণ এর মধ্যে কিছু উচ্চমাত্রার স্পর্শকাতর কোডও রয়েছে।

ওয়্যার্ডের তথ্য অনুযায়ী, সুষ্ঠভাবে কাজ সম্পাদনের জন্য নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া পাইপারকে প্রতিদিন প্রায় ৮৫ টেরাবাইট ডেটা আদান-প্রদান করতে হয়। এ ছাড়াও গুগলের ২৫ হাজার প্রকৌশলী কোড সংরক্ষণাগারে প্রতিদিন প্রায় ৪৫ হাজার পরিবর্তন সাধন করেন বলেও জানিয়েছে ওয়্যার্ড।