এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় গাড়িগুলো ‘লাইডার’ নামে এক লেজার রেঞ্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে। মূলত এর মাধ্যমেই গাড়িগুলো যাত্রাপথের একটি থ্রিডি ম্যাপ তৈরি করে এবং সামনে, পাশে, পেছনে ঠিক কী কী বাঁধা রয়েছে, তা বুঝতে পারে। আর ওই লাইডারকে বিভ্রান্ত করার উপায়ই খুঁচে পেয়েছেন পেটিট।
ইউনিভার্সিটি অফ কর্কের কম্পিউটার সিকিউরিটি গ্রুপের গবেষণা প্রতিবেদনে জোনাথন পেটিট জানিয়েছেন, ৬০ ডলার মূল্যমানের নিম্ন ক্ষমতাসম্পন্ন লেজারের সাহায্যে হ্যাকাররা এই লাইডারকে বিভ্রান্ত করে দিতে পারে। এমনকি এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির সামনে বিভিন্ন কাল্পনিক বাঁধাও সৃষ্টি করা সম্ভব।
যেকোনো পাশ থেকেই গাড়ির লাইডারে এ ধরনের সাইবার আক্রমণ চালানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা গবেষকরা। এ ধরনের আক্রমণের মাধ্যমে গাড়িগুলোকে চলন্ত অবস্থা থেকে থামিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়ির যাত্রাপথও পরিবর্তন করে দিতে পারবে হ্যাকাররা।
এ প্রসঙ্গে পেটিট জানিয়েছেন, তিনি নিজেই চাইলে এ ধরনের হাজারখানেক কাল্পনিক বাঁধা সৃষ্টি করতে পারবেন। বর্তমানে গুগল, লেক্সাস, মার্সিডিজ, অডি ও অন্যান্য অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের চালকবিহীন গাড়ির প্রোটোটাইপে লাইডার ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।