ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ওয়েবসাইটটিতে লক্ষাধিক গ্রাহক যোগ দিয়েছে- এমনটাই দাবি করেছে অ্যাশশি ম্যাডিসনের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যাভিড লাইফ মিডিয়া।
অগাস্টের শেষ সোমবার এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ এনে ওয়েবসাইটে নারী গ্রাহকদের মোট সংখ্যার ব্যাপারে ভুল ডেটা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে অ্যাশলি ম্যাডিসন।
প্রতিষ্ঠানটির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, এক সপ্তাহে প্রায় ২৮ লাখ নারী সাইটটির মাধ্যমে মেসেজ আদান-প্রদান করেছে।
সাইটটি নারীরা বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারলেও পুরুষ ব্যবহারকারীদের অর্থ খরচ করতে হয়। এরপরও সাইটটিতে প্রতি ১২ জন পুরুষের বিপরীতে নারী সদস্যের সংখ্যা ছিল ১০ জন।
সবমিলিয়ে বিবাহউত্তর গোপন সম্পর্ক স্থাপনে ইচ্ছুক গ্রাহকদের জন্য অ্যাশলি ম্যাডিসন ‘সেরা মাধ্যম’ বলে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
অগাস্ট মাসে অ্যাশলি ম্যাডিসনের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ৩ কোটি ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য চুরি করেছিল ‘দ্য ইমপ্যাক্ট টিম’ নামের একদল হ্যাকাররা।
পরবর্তীতে হ্যাকারদের ফাঁস করা ডেটার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ই-মেইল অ্যাড্রেসের পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যও ছিল।