চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জিনহুয়া জানিয়েছে, সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ‘অস্থিরতা সৃষ্টি, ভুয়া তথ্য ছড়ানো এবং সমাজ ও শেয়ারবাজারে অস্থিতিশীলতা’ সৃষ্টির ১৬৫টি অভিযোগের বিপরীতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে ওই ১৯৭ জন ব্যক্তিতে।
অনলাইন থেকে শাস্তি প্রাপ্তদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ও পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে চীনের সংবাদকর্মীরাও দেশটির পুলিশ বাহিনীর ওই অভিযানের ভুক্তভোগী হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ম্যাশএবল।
সাইটটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের শিকার হয়েছেন চীনের কাইজিং ম্যাগাজিনের সংবাদকর্মী ওয়াং জিয়াওলু। চীনের শেয়ার বাজারের ধস নিয়ে তার লেখা এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
জিংহুয়াও প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভুয়া গুজব এবং পক্ষপাতিত্ত করে নিজস্ব মতামত ছড়ানোর অভিযোগ শিকার করে নিয়েছে ওয়াং।
ম্যাশএবল জানিয়েছে, তিয়ানজিন বিস্ফোরণের পর ব্যস্ততা বেড়েছে চীন সরকারের সেন্সরশিপ বিভাগের। ওই ঘটনা নিয়ে সরকারের জন্য ‘অস্বস্তিকর’ প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে এমন একাধিক ব্লগ আর ওয়েইবো পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।