মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস ‘স্পটিফাই’ এবং সুইডিশ অনলাইন পেইমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ক্লারনা’ থেকে হমেলসের লাভের খাতায় যুক্ত হয়েছে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় ‘ফেইসবুক’ এবং ‘এয়ারবিএনবি’র মতো টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানেও অর্থ বিনিয়োগ করেছেন।
ইউরোপের টেক সেক্টরে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুন করার লক্ষ্যে তার ফার্ম ‘লেইকস্টার’ এরইমধ্যে প্রায় ৪০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের অর্থ বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘হ্যারি’জ’ এবং বন্ড আদান-প্রদান বিষয়ক ব্রিটিশ সামাজিক যোগাযোগভিত্তিক সাইট ‘অ্যালগমি’।
ইউরোপের উঠতি টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্যের জন্যই এভাবে বিনিয়োগ করার চিন্তা করছেন ৪৮ বছর বয়সী জার্মান নাগরিক হমেলস। তিনি এ ব্যাপারে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানান, “প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের ধরনের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে গেছে। যদি আমরা কোনো নতুন প্রতিষ্ঠানের ক্রমোন্নয়নে সহায়তা করতে পারি, তবে তাদের জন্য উঁচু অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।”
হমেলস এর মত আরও অনেক উদ্যোক্তা এখন ইউরোপের টেক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনিয়োগের ব্যপারে পুনরায় আগ্রহী হয়েছেন। সিলিকন ভ্যালিতে উবার-এর মতো প্রতিষ্ঠানে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট হয়েছিল পুঁজিবাদী উদ্যোক্তা গোষ্ঠী। একই ঘটনাটি এখন ঘটছে ইউরোপে।
মূলতঃ এই বিনিয়োগ গুলো আসছে ‘কিং ডিজিটাল’ কিংবা ‘জালান্ডো’-এর মত গেইমিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্যের কারণে। এরইমধ্যে সুইডিশ প্রতিষ্ঠান ‘মোজ্যাং’-কে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিনে নিয়েছে আরেক টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
গবেষকদের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘ইনডেক্স ভেনচারস’ এবং ‘অ্যাক্সেল পার্টনারস’ দের মতো বড় ফার্মগুলো উঠতি প্রতিষ্ঠানের উপর অর্থ বিনিয়োগ করছে কেননা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায়িক পরিধিটি পূর্বপরিকল্পিত। ফলে, ক্ষতির আশঙ্কাও আসছে কমে। এরই ধারাবাহিকতায় সার্চ ইঞ্জিন ‘গুগল’ ১০০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে নতুন প্রতিষ্ঠিত টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য।
ফ্যাশন, খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার উপর জোর দিয়ে এর সাথে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এর জোগান দিচ্ছে লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফেলিক্স ক্যাপিটাল। এছাড়াও ইউরোপীয় কিছু নবীন প্রতিষ্ঠানে অর্থ লগ্নি করছেন কায়ারান ও’ লিয়্যারি এবং জেইসন ওয়াইটমায়ার নামে দু’জন জার্মান উদ্যোক্তা।