শত ক্যাম্পাসে এখন বেসিস স্টুডেন্ট’স ফোরাম

প্রতিষ্ঠিত হবার চার মাসের মধ্যেই প্রায় একশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানোর মাইলফলক পেরিয়েছে বেসিস স্টুডেন্ট’স ফোরাম। বর্তমানে এই  ফোরামের অধীনে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ।

আজরাফ আল মূতীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2015, 03:51 AM
Updated : 28 August 2015, 06:52 AM

এই মাইলফলকেই অবশ্য সন্তুষ্ট নন আয়োজকরা। বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, যিনি এই উদ্যোগের মূল পরিকল্পক, একাধিক আয়োজনে তিনি শুনিয়েছেন তার আশার কথা। “এই ফোরাম থেকে আমরা বিশ্বমানের পেশাদার আইটি কর্মী তৈরি করতে চাই।”

“আজ যারা তথ্য-প্রযুক্তির শিক্ষার্থী, এরাই একদিন ভুমিকা রাখবে আমাদের অর্থনীতিতে, পাল্টে দেবে দেশের চেহারা।”

এ বছরের জানুয়ারি মাসে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনশক্তি তৈরি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে স্টুডেন্টস ফোরাম গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিল বেসিস।

বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এই ফোরামের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন বলে বিডিনিউজকে জানিয়েছেন বেসিস স্টুডেন্ট’স ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক এবং বেসিসের অন্যতম পরিচালক আরিফুল হাসান অপু।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ফোরাম প্রসঙ্গে আরিফুল জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পূর্বনির্ধারিত কাঠামো মেনেই নির্বাহী কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কাঠামো অনুসারে, আইটি, সফটওয়্যার অথবা সিএসই বিভাগের একজন শিক্ষক মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তার তত্ত্বাবধানে নির্বাহী সদস্য হিসেবে আটজন শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয় এবং ওই আটজনের মধ্য থেকে তিনি একজনকে আহবায়ক হিসেবে নির্বাচিত করে নির্বাহী কমিটি তৈরি করেন।

নিজেদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আরিফুল বলেন, “নিবন্ধিত শিক্ষার্থী সংখ্যা এক কোটিতে নিয়ে আসাসহ আগামীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সেমিনার ও প্রযুক্তিখাত সম্পর্কিত কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।”

উদ্যোক্তাদের ও বিভিন্ন স্টার্টআপ ব্যবসার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার পাশাপাশি পরবর্তীতে চাকরিক্ষেত্রে যাতে শিক্ষার্থীদের সমস্যা না হয় সে লক্ষ্যে, স্নাতক সম্পন্ন করেছেন বা করতে যাচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদেরকে স্টুডেন্টস ফোরামের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

স্টুডেন্ট’স ফোরামগুলোর সাহায্যে ভবিষ্যতে বেসিস ইন্সটিটিউট অফ টেকনলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম)-কে দেশের সাতটি বিভাগে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান আরিফুল।

তিনি আরও জানিয়েছেন, নারী শিক্ষার্থীদের এ খাতে উৎসাহিত করে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাহী কমিটিতে দুই জন নারী শিক্ষার্থী থাকা বাধ্যতামূলক করে দেওয়াসহ ফোরামের বিভিন্ন কর্মসূচীর স্বেচ্ছাসেবক থেকে শুরু করে আগ্রহী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেও নারীদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।

বর্তমানে নিজস্ব ফোরাম না থাকায় দেশের পলিটেকনিক কলেজের আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোরামের অধীনে কাজ করছেন। তবে এ বছরের শেষ নাগাদ পলিটেকনিক কলেজগুলোতেও স্টুডেন্টস ফোরাম গঠনের কার্যক্রমে হাত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আরিফুল।