নির্বাচনে কারচুপির ক্ষমতা রাখে গুগল!

সার্চ রেজাল্টের ফলাফলে ‘কলকাঠি নেড়ে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে গুগল! এই বিস্ময়কর তথ্য জানিয়েছেন আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর বিহেভেরিয়াল রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজির জৈষ্ঠ্য মনোবিজ্ঞান গবেষক রবার্ট এপস্টেইন।

আজমল বশির শিহাববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2015, 10:39 AM
Updated : 23 August 2015, 10:39 AM

এপস্টেইনের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সার্চ ইঞ্জিনের গোপন অ্যালগরিদমে ছোটখাট পরিবর্তন এনেই ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলার ক্ষমতা আছে ওয়েব জায়ান্ট গুগলের।

এপস্টেইন জানিয়েছেন, তিনিসহ একদল গবেষক ভোট দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন এমন ভোটারদের আচরণ নিয়ে গবেষণা করেন। সার্চ রেজাল্টে ‘কলকাঠি নেড়ে’ একজন প্রার্থির পক্ষপাতিত্ত করে বা বেশি পছন্দের তালিকায় নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীকে দেখিয়ে ওই ভোটারদের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা।

এপস্টেইনের গবেষণার ফলাফলের বিপরীতে এক গুগল মুখপাত্রের দাবি, তাদের অ্যালগরিদম ‘প্রাসঙ্গিক ফলাফল’ দেখানোর জন্য বানানো। অ্যালগোরিদমে কারচুপি করে একজন প্রার্থির প্রতি পক্ষপাতিত্ত করলে তা গুগলের উপর ব্যবহারকারীদের বিশ্বাসে আঘাত হানবে।

গুগলের এমন জবাবকে ‘অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন এপস্টেইন। “নির্বাচন সম্পর্কিত প্রশ্নে ‘প্রাসঙ্গিক উত্তর’ দেওয়ার বিষয়টি কিভাবে সার্চ র‌্যাংকিংয়ে কোনো প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতিত্তের আশঙ্কা দূর করে?”-- পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি গুগলের ক্ষমতার বাইরে নয় বলেই ইঙ্গিত করছে এপস্টেইনের গবেষণার ফলাফল। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথা। ২০১২ সালের নির্বাচনে ৩.৯ শতাংশ বেশি ভোটে জিতেছিলেন ওবামা। এখন পর্যন্ত ২০১৬ সালের নির্বাচনের প্রার্থিদের মধ্যেও ব্যবধান বেশি নয়।

গুগল ২০১৬ সালের নির্বাচনে কারচুপির ক্ষমতার রাখলেও সত্যিই সে ক্ষমতা ব্যবহার করবে কি-না সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কোনো মন্তব্য করতে পারেননি এপস্টেইন। তবে এক্ষেত্রে ঐতিহাসিক উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। ১৮৭৬ সালের নির্বাচনে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ফলাফল তাদের পছন্দের প্রার্থী রাদারফোর্ড বি. হেইসে পক্ষে নেওয়ার জন্য নিজেদের টেলিগ্রাফ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছিল। হেইসকে নিয়ে যেন শুধু ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, সে দায়িত্বে ছিল অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি। সেবার খুব অল্প ব্যবধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন হেইস।