পর্ন-এর উপর নিষেধাজ্ঞা ভারতে

ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৮৫৭টি পর্ন ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে প্রবেশ। শিশুদেরকে এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে দূরে রাখার জন্যই ভারতীয় সরকারের এই উদ্যোগ।

শরীফুল হক আনন্দবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 August 2015, 10:23 AM
Updated : 4 August 2015, 10:23 AM

শিশুদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ হলেও ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে যে কোন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি পর্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রক্সি লিঙ্ক দিয়েও ওয়েবসাইটগুলোতে ঢোকা সম্ভব।

তবে, টেলিকম কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, ওয়েবসাইটগুলোর উপর তারা ‘সঙ্গে সঙ্গেই’ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে পারবে না। “আমাদের একসঙ্গে একটির পরে আরেকটি সাইট ব্লক করতে হবে, এবং এর জন্য কিছু সময়ও দরকার”- একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্বাহী কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

বিবিসি জানিয়েছে, অসংগতিপূর্ণ- বিশেষ করে শিশু পর্নোগ্রাফি প্রচার করে এমন সাইটগুলো ব্লক করতে অসমর্থ হওয়ায় গত জুলাইয়ে ভারতীয় সরকারের উপর অসন্তুষ্ট হয় সুপ্রিম কোর্ট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ কর্মকর্তা বিবিসি হিন্দিকে জানান, টেলিকম অপারেটরদের মোট ৮৫৭টি পর্ন ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আনতে বলেছে ভারতীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

“সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় নি। শিশুরা অবাধে পর্ন ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারছে- ব্যাপারটির ব্যাপকতা উপলব্ধি করায় এর উপর নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। বয়স্করা এই ব্যাপারে নিয়মের অধীনে নন।”- বিবিসি হিন্দিকে আরও জানান ওই কর্মকর্তা।

অ্যাডাল্ট সাইট ‘পর্নহাব’ এর এক পরিসংখ্যান মতে, পর্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারত, শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা।

এদিকে পর্ন ওয়েবসাইটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি প্রসঙ্গে ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে ঝড়। বেশিরভাগ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গই সমালোচনা করেছেন এমন সিদ্ধান্তের।

লেখক চেতান ভাগাত, নিলাঞ্জনা রায়, রাজনীতিবিদ মিলিন্দ দেওরা, চলচ্চিত্রকার রাম গোপাল ভার্মাসহ অনেকেই সামিল হয়েছেন এই বিতর্কে।

টুইটারেও সরব হয়ে উঠেছে #পর্নব্যান হ্যাশট্যাগটি। হাজারো পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য জমা হয়েছে ইতিমধ্যে এই থ্রেডটিতে।