শেয়ার কেলেঙ্কারি: দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

বিশ বছর আগের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা এক মামলায় প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক আনু জায়গীরদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।

নিজ্স্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2017, 10:33 AM
Updated : 25 July 2017, 10:33 AM

শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ মঙ্গলবার এ পরোয়ানা জারি করেন বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা খান।

১৯৯৬ সালে শেয়ার কেলেঙ্কারির এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান এবং ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানদের বিরুদ্ধে আলোচিত দুই মামলা বাতিল করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

অন্যদিকে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে শেয়ার কেলেঙ্কারির এই মামলায় গত ২৩ এপ্রিল খালাস পান র‌্যাংগস গ্রুপের কর্ণধার এম এ রউফ চৌধুরী ও এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরী।

তবে মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে মশিউর ও আনুর বিচারকাজ ২ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকায় তখন তাদের বাকি রেখেই ওই দুজনকে খালাসের রায় দেওয়া হয়।

মশিউর রহমান ও পরিচালক আনু জায়গীরদারের বিচার কাজ পরিচালনার জন্য সোমবার শেয়ারবাজার বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে নির্ধারিত দিন ছিল।

কিন্তু ওইদিন আসামিরা ট্রাইবুন্যালে উপস্থিত না হওয়ায় বাদীপক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার ট্রাইবুন্যালের বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেন।

আসামিদের কার্যকলাপ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করেছে বলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ-১৯৬৯ এর ২১ ধারায় গঠিত বিএসইসির তদন্ত কমিটি ১৯৯৭ সালের ২৭ মার্চ একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

প্রতিবেদনে আসামিরা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ-১৯৬৯ এর ১৭ ধারার ই(২) বিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের ২৪ ধারার অধীনে আসামিদের শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।