সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা কিংবা কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নেই। এ ধরনের একটি কৌশল এবারের বাজেটে থাকা উচিৎ ছিল।”
গত বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে সিএসইর ঢাকা কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সাইফুর বলেন, “আগামী তিন বছরে আমাদের পুঁজিবাজারে কত কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে, আমাদের বাজারের গভীরতা কত হবে, পুঁজিবাজার কোন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে; এমন কোনো সুস্পষ্ট কৌশন নির্ধারণ করা হয়নি।”
বাংলাদেশের কয়েক লাখ লিমিটেড কোম্পানির মধ্যে মাত্র কয়েকশটির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সংখ্যা কমপক্ষে কয়েক হাজার হওয়া উচিৎ।
পুঁজিবাজার ‘পরিপন্থি’ কিছু বাজেটে না থাকলেও বাজার স্থিতিশীল হবে এমন কিছুও নেই, বলেন সিএসই এমডি।
“আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যেসব প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তা বিবেচনায় আনা হয়নি।”
এখন পুঁজিবাজার কি স্থিতিশীল- এ প্রশ্নে সাইফুর বলেন, “এখনও বাজার নিশ্চিত স্থিতিশীল অবস্থায় আসেনি; স্বাভাবিক ট্রেড ভলিউম বাড়েনি।
“আরও নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আনতে হবে। গুণগত মানসম্মত কোম্পানি তালিকাভুক্ত করতে হবে। এগুলোর জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ কিংবা কৌশল নির্ধারণ করা দরকার; যা বাজেটে অনুপস্থিত।”
তিনি সিএসইর কর প্রস্তাব পুনঃবিবেচনা করার সুপারিশ করেন।
স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর জন্য আরও তিন বছর ১০০ শতাংশ কর অবকাশ সুবিধা রাখার প্রস্তাব করেন সাইফুর। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করহারের ব্যবধান অন্ততপক্ষে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করেন তিনি।
“পুঁজিবাজারে চলমান মন্দা অবস্থা কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে প্রণোদনা হিসেবে লেনদেনের উপর বর্তমানে প্রযোজ্য ০.০৫% কর হার ০.০১৫% করা যেতে পারে।”
লভ্যাংশ আয়ের উপর দ্বৈত কর নীতি পরিহারে সুপারিশ করেন তিনি। করমুক্ত লভ্যাংশের বর্তমান সীমা ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব জানান সিএসই এমডি।
স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর ব্যবহৃত সফটওয়্যারের উপর উৎস আয় কর এবং মূসক প্রত্যাহারের সুপারিশও করেন তিনি।