মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলের সিটি সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বর্তমানে ডিভিডেন্ড ইল্ড ৩ শতাংশ এবং ব্যাংক ডিপোজিট রেট ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ডিভিডেন্ড ইল্ড ও ব্যাংক ডিপোজিট রেটের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ২ শতাংশ।
“২০১১ সালে ডিভিডেন্ড ইল্ড ছিল ২.৩৪ শতাংশের মতো এবং ডিপোজিট রেট ছিল ১২ শতাংশের ওপরে; ডিভিডেন্ড ইল্ড ও ডিপোজিট রেটের মধ্যে বড় ধরনের গ্যাপ ছিল। এখন যেটা কমে এসেছে। যার ফলে পুঁজিবাজারে রিটেইল ইনভেস্টর আসার সুযোগ বেড়েছে।”
ডিভিডেন্ড ইল্ড হচ্ছে লভ্যাংশ থেকে প্রকৃত আয়; ২০ টাকায় কেনা একটি শেয়ার যদি অবহিত মূল্য ১০ টাকার উপর ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে, তবে ডিভিডেন্ড ইল্ড হবে সাড়ে সাত শতাংশ অর্থ্যাৎ অবহিত মূল্যের ওপর লভ্যাংশ দেড় টাকাকে ২০ টাকা দিয়ে ভাগ দিয়ে ১০০ দিয়ে গুণ দিতে হবে।
বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এবং অর্থনীতি সম্পর্কে ধারণা দিতে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট গাইড-২০১৭’ এর প্রকাশনা উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট গাইড তৈরিতে প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করেন লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের প্রধান গবেষক মো. মাহফুজুর রহমান।
অনুষ্ঠান শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পুঁজিবাজারে তো লভ্যাংশ ছাড়া শেয়ারের দাম বাড়লে, সেটা বিক্রি করেও মুনাফা করা যায়; যার ফলে দেখা যায়, ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীদের কাছে লাভজনক হয়ে যাচ্ছে।”
ডিএবি সভাপতি লালী বলেন, “লংকাবাংলার এই প্রকাশনাটি খুবই তথ্যবহুল। একজন বিনিয়োগকারীর হাতে এটি পড়লে, সে খুব সহজেই পুঁজিবাজার সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন। পুঁজিবাজারে অতীতে কী হয়েছিল এবং বর্তমানে কী অবস্থায় আছে তা জানতে পারবেন।”
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি নাসির বলেন, “এটি আমাদের তৃতীয় প্রকাশনা। এর আগে দুটি ভার্সন আমরা প্রকাশ করেছি। তবে ওই দুটি প্রকাশনা সর্বসাধরণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।”