২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে এবিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে লিখিত প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে বলে রোববার ডিএসই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারি বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যে সক্ষমতা ডিএসইর অর্জন করা দরকার তা এখনো হয়নি। এই সক্ষমতা বাড়াতে হলে বিনিয়োগও বাড়াতে হবে। তার জন্য আমাদের ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী ৫ বছর কর অবকাশ সুবিধা দরকার।”
স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর পুঁজিবাজারের জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে পাঁচ বছরের জন্য ক্রমহ্রাসমান হারে কর অবকাশ সুবিধা ঘোষণা করে সরকার।
ঘোষণা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারের আয় প্রথম বছরে শতভাগ, দ্বিতীয় বছরে ৮০ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৬০, চতুর্থ বছরে ৪০ ও পঞ্চম বছরে ২০ শতাংশ হারে কর অব্যাহতি পাওয়ার কথা।
তবে ডিএসইর দাবি মেনে চলতি অর্থবছরের জন্যও শতভাগ কর অবকাশ সুবিধা দেয় এনবিআর। সেই সুবিধাই আরও তিন বছরের জন্য বাড়ানোর দাবি তুলেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ।
এই সুবিধা পেয়ে ডিএসইর আয় বাড়লে সরকারের রাজস্বও বাড়বে- এই যুক্তি তুলে ধরে মতিন বলেন, “এতে সরকারের আয় কমবে না। কারণ এখন এমনিতেই আমরা লোকসান করছি এবং এনবিআর আমাদের কাছ থেকে কর পাচ্ছে না।”
শতভাগ কর অবকাশ সুবিধার পাশাপাশি পুঁজিবাজারের আয়ের উপর আরোপিত উৎসে কর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে ডিএসই।
মতিন বলেন, “পুঁজিবাজার থেকে সরকার বর্তমানে ২০০ কোটি টাকা আয় করে।বাজার বড় হলে সেটা হাজার কোটি টাকা হওয়া কোনো বিষয় নয়।
“বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারের আকার জিডিপির ২১ শতাংশ। কিন্তু এটি একদিন ১০০ শতাংশ হবে। সেদিন সরকার অনেক আয় করবে। সে কথা চিন্তা করে বর্তমানে উৎসে কর কমানো দরকার।”
প্রতিবেশী দেশ ভারতের মুম্বাইয়ের পুঁজিবাজারের আকার দেশটির জিডিপির প্রায় ৭০ শতাংশ এবং হংকংয়ের পুঁজিবাজারের আকার দেশটির জিডিপির একহাজার শতাংশ বা ১০ গুণ।