আগের বছরও একই অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব দিয়েছিল আইডিএলসি। তবে সে বছর শেয়ারহোল্ডাররা তা অনুমোদন করেননি।
সভায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আরএফ হোসাইন বলেন, গত বছরের হরতাল ও অবরোধের কারণে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। বহু কোম্পানি ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারেনি। আইডিএলসি’র সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি সিকিউরিটিজ ও আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের কোনো ব্যবসাই ছিলো না। এরই মধ্যেও কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিতে পেরেছে। তবে পরিস্থিতি ভালো থাকলে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারতো।
তিনি বলেন, চলমান অস্থিরতা যদি বন্ধ না হয়, তাহলে ব্যবসার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। সব কিছুর আগে দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ থাকা চাই। অনুকূল পরিবেশ থাকলে কোম্পানির ব্যবসা অনেক ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, আশার কথা হলো আইডিএলসির দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারা জানে সংকটকালীন সময়ে কিভাবে ব্যবসা করতে হয় বা কোন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হয়। সবার সহযোগিতা পেলে এই সংকটেও কোম্পানি ভালো অবস্থানে থাকবে।
এজিএমে শেয়ারহোল্ডাররা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ঘোষিত লভ্যাংশসহ সব এজেন্ডা অনুমোদন করেন। উল্লেখ, আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বোনাস ও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।
সভায় কোম্পানির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ ও উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।