আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার আনহেল দি মারিয়া করেন জোড়া গোল। মার্কোস রোহো, হাভিয়ের পাস্তোরে, সের্হিও আগুয়েরো ও গনসালো হিগুয়াইন একটি করে গোল করেন।
আক্রমণভাগের সবাই গোল পেলেও পাননি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি; কিন্তু বেশিরভাগ আক্রমণ তৈরি হয়েছে তার পা থেকেই। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে চারটি গোলে অবদান রাখেন বার্সেলোনার এই তারকা ফরোয়ার্ড। প্যারাগুয়ের একমাত্র গোলটি করেন লুকাস বারিওস।
প্রথম সেমি-ফাইনালে পেরুকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা স্বাগতিক চিলির বিপক্ষে সান্তিয়াগোয় বাংলাদেশ সময়
শনিবার রাত দুইটায় শিরোপা লড়াইয়ে নামবে আর্জেন্টিনা।
চিলির কনসেপসিয়নে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে লিওনেল মেসির নিখুঁত ফ্রি-কিক থেকে পঞ্চদশ মিনিটে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন রোহো। বলটি এসে পড়েছিল পোস্টের খুব কাছে দাঁড়ানো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ডিফেন্ডারের পায়েই।
এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণের ধার আরও বাড়ে আর্জেন্টিনার। দুইবার গোল বঞ্চিত হওয়ার পর পাস্তোরে ২৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। মেসি বল বাড়ান পিএসজির এই তারকাকে। বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বাধার মুখে পড়ার আগেই তার মাটি কামড়ানো শট ঠিকানা খুঁজে নেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে একপেশে ফুটবল খেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় নেয় আর্জেন্টিনা। এই অর্ধের শুরুতেই ছয় মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে প্যারাগুয়ের ম্যাচে ফেরার আশা প্রায় শেষ করে দেন দি মারিয়া।
৪৭তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর বাঁয়ে পাস্তোরের বাড়ানো বল নিচু কোনাকুনি শটে জালে জড়িয়ে দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডর এই আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার।
শেষ দিকে তিন মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোল করে ২০০৭ সালের পর কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলা নিশ্চিত করে নেয় আর্জেন্টিনা। ৮০তম মিনিটে গোছালো একটি আক্রমণ থেকে নিজেদের পঞ্চম গোলটি তুলে নেয় মার্তিনোর দল। মেসির পাস থেকে দি মারিয়ার মাপা ক্রসে আগুয়েরোর গতিময় হেড ডান পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
আগুয়েরোর গোলের রেশ কাঁটতে না কাঁটতেই স্কোরলাইন ৬-১ করে দেন গনসালো হিগুয়াইন। ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে মেসি পড়ে গেলেও কোনোভাবে বল পাঠিয়েছিলেন সামনে থাকা হিগুয়াইনের কাছে। নাপোলির এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া জোরাল শট রুখতে পারেননি প্যারাগুয়ে গোলরক্ষক। আর তাতে কোপা আমেরিকার গত আসরের রানার্সআপদের বড় হারের লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।