ম্যাচ শেষে দুঙ্গা ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে কথা বলেন।
“এটা অজুহাত নয়, কিন্তু এই সপ্তাহে ১৫ জন খেলোয়াড় ভাইরাস আক্রান্ত হয় এবং আমাদের বেশিরভাগ অনুশীলনই সীমিত করে ফেলতে হয়।”
ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়া ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা প্রয়োজনের সময় ম্যাচে গতির সঞ্চার করতে পারেননি বলে উল্লেখ করেন দুঙ্গা।
“তাদের ভাইরাস আক্রমণ করেছিল। তাদের মাথা ব্যথা, পিঠের ব্যথা, সব জায়গায় যন্ত্রণা ছিল।… কেউ বমি করেছে। এ জন্য আমাদের অনুশীলন সেশনের গতি কমাতে হয়েছে।”
চিলির কনসেপসিওনে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার-ফাইনালে প্যারাগুয়ের কাছে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে সমতায় ছিল। টুর্নামেন্টের নক আউট পর্যায়ে একমাত্র ফাইনাল ছাড়া অন্য কোনো ম্যাচে অতিরিক্ত সময় না থাকায় খেলা সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে।
রবিনিয়োর গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়া ব্রাজিল নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেনি বলে মনে করেন দুঙ্গা।
দুঙ্গা ভাইরাসকে দায়ী করলেও দলের ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার জানান, সব খেলোয়াড় সুস্থ ছিলেন। আর এটা ম্যাচে খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি বলে মনে করেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা।
ম্যাচ শেষে রবিনিয়ো বলেন, “আমি এটাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছি না। ভাইরাস নিয়ে হোক, অথবা ভাইরাস ছাড়াই আমরা ম্যাচটি জিততে পারতাম।”
ব্রাজিলের গোলরক্ষক জেফারসন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করলেও এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছেন না।