সেবার শেষ আটে ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে ২-০ গোলে হারিয়েছিল প্যারাগুয়ে। তাই এই ম্যাচ ঘিরে চারদিকে ভেসে বেড়াচ্ছে গুঞ্জন-ব্রাজিল কি প্রতিশোধ নিতে পারবে, নাকি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে প্যারাগুয়ে? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে চিলির কনসেপসিওনে বাংলাদেশ সময় রোববার ভোর সাড়ে তিনটায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচ শেষে।
আগে থেকেই জানা, অথচ বড় একটা ধাক্কা নিয়েই এই ম্যাচ খেলতে নামছে ব্রাজিল। নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের কোপা আমেরিকা আগেই শেষ হয়ে গেছে নেইমারের। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এটা কতটা প্রভাব ফেলবে, সেই বিষয়ে অবশ্য ব্রাজিলের ডিফেন্ডার ফিলিপে লুইস উত্তর দিলেন দার্শনিকের মতো।
“নেইমার শাস্তি পেয়েছে এবং তার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে।”
প্যারাগুয়ের কোচ রামন দিয়াসও এ বিষয়ে একটু যেন নিরুত্তাপই।
“অসাধারণ খেলোয়াড়দের নিয়ে দারুণ দল তারা। নেইমারের না থাকাটা দু:খজনক। তার মতো খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।”
এটা ঠিক যে, ব্রাজিল দলে নেইমার ছাড়াও অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। আর প্যারাগুয়ে দলে বলার মতো তেমন কোনো বড় তারকা নেই। তবে এ ম্যাচের আগে কিছুটা হলেও মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবে প্যারাগুয়ে।
ব্রাজিলের জন্য এই কোপা আমেরিকা দেশের মাটিতে বাজে একটা বিশ্বকাপ কাটানোর দু:স্বপ্ন ভোলার মিশন। চোটের কারণে খেলতে না পারায় নেইমারকে রেখেই গত বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল খেলতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে উড়ে যায় তারা।
ব্রাজিল কোচ দুঙ্গা যতই ‘চাপ নেই’ বলুন না কেন; বিশ্বকাপ-দু:খ ভোলার চাপের বোঝাটা মোটেই হালকা নয় তাদের জন্য। এর ওপর আবার নেইমারের অনুপস্থিতির চাপ। সব মিলিয়ে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের ফুরফুরে মেজাজে থাকার কোনো অবকাশই নেই।
ব্রাজিলের অবশ্য স্বস্তির জায়গা এ ম্যাচের আগে কিছু আছে। সব ধরনের প্রতিযোগিতা আর প্রীতি ম্যাচ মিলিয়ে জয়-পরাজয়ের পাল্লাটা ব্রাজিলের দিকেই ভারী। মুখোমুখি হওয়া ম্যাচগুলোর মধ্যে ৪৭টিতেই জিতেছে ব্রাজিল; প্যারাগুয়ের জয় মাত্র ১২টিতে।
এ ম্যাচের আগে আরও একটি প্রেরণা আছে ব্রাজিলের। এবারের কোপা আমেরিকায় এরই মধ্যে নেইমারকে ছাড়া একটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে তারা। আর সেই ম্যাচে ভেনেজুয়ালাকে ২-১ গোলে হারায় দুঙ্গার দল।