আর্জেন্টিনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দেশটির রাজধানী বুয়েনস আইরেসের একটি ক্লিনিকে মারা যাওয়ার সময় দিয়েগোর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
অধিনায়ক হিসেবে আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানো মারাদোনার ক্যারিয়ারে নানা চড়াই-উতরাই যায়। তবে ভালো ও খারাপ সময়, দুটিতেই বাবাকে বন্ধুর মতো পাশে পান মারাদোনা।
দিয়েগো মাঠে মারাদোনার ছন্দময় ফুটবল দেখে যেমন হাততালি দিয়ে গেছেন, তেমনি মাদকের থাবায় নীল হওয়া ছেলের জন্য চোখের জলও ফেলেছেন।
২০১১ সালে তার মা মারা যাওয়ার সময় পাশে থাকতে পারেননি নাপোলির সাবেক তারকা। সেই দু:খ এবার আর পেতে চাননি বলেই বাবার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে শুনে দুবাই থেকে এ মাসের গোড়ার দিকেই বুয়েনস আইরেসে চলে যান মারাদোনা।
কারখানার শ্রমিক দিয়েগো পঞ্চাশের দশকে বুয়েনস আইরেসে বসতি গাড়েন। বস্তি এলাকা ভিয়া ফিওরিতোতে বসবাসকালে আট সন্তানকে লালন-পালন করেন তিনি। এর মধ্যে সবার বড় মারাদোনার জন্ম হয় ১৯৬০ সালে।
মারাদোনার ৯ বছর বয়সে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের প্রথম বিভাগের ট্রায়ালে যোগ দেওয়ার বিষয়ে অমত করেছিলেন তার বাবা দিয়েগো। ফুটবলে সেই সময় টাকা কম ছিল বলেই তিনি মারাদোনাকে ফুটবল খেলতে দিতে চাননি।
শান্ত প্রকৃতির মানুষ দন দিয়েগো মাঝে মাঝে আর্জেন্টিনা দলের জন্য আসাদস (বারবিকিউ) বানাতে ভালোবাসতেন। এমনকি মেক্সিকোতে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সময়ও তিনি এটা আর্জেন্টিনা খেলোয়াড়দের বানিয়ে খাইয়েছিলেন।