বার্লিনে ইউভেন্তুসের বিপক্ষে শনিবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটিই বার্সেলোনার হয়ে ছিল চাভির শেষ ম্যাচ। ইভান রাকিতিচ, লুইস সুয়ারেস ও নেইমারের গোলে ইউভেন্তুসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ট্রেবল জয়ের আনন্দে ভাসে কাতালুনিয়া ক্লাবটি।
এই ম্যাচের অনেক আগেই অবশ্য বার্সেলোনাকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন চাভি। ১১ বছর বয়সে বার্সেলোনার যুব প্রকল্পে নাম লেখানো চাভি মূল দলের হয়ে ১৭টি বছর কাটান।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ছোট-বড় ২৫টি শিরোপা জেতা চাভি গত মাসেই বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেন। নাম লেখান কাতারের ক্লাব আল সাদে।
বার্সেলোনার হয়ে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেলতে নেমে একটি রেকর্ডও গড়েন চাভি। রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক ইকের কাসিয়াসকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (১৫১টি) খেলা খেলোয়াড় হয়ে গেছেন তিনি।
“এমনকি আমার সম্ভাব্য সেরা স্বপ্নেও আমি এত খুশি হতে পারতাম না। কোনো ভাষা নেই, আমি এর চেয়ে বেশি চাইতে পারতাম না।”
বার্সেলোনা ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটিতে অবশ্য প্রথম একাদশে সুযোগ পাননি চাভি। ৭৮তম মিনিটে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। মাঠ থেকে চলে যাওয়ার সময় অধিনায়কের বাহুবন্ধনী খুলে চাভিকে পড়িয়ে দেন ইনিয়েস্তা।
বিশ্বের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার চাভিকে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দর্শক হাততালিতে মাঠে স্বাগত জানায়।
অধিনায়কের বাহুবন্ধনী চাভির হাতে ছিল বলে শিরোপাও তার হাতেই তুলে দেওয়া হয়। বিদায় বেলায় এটাও তার জন্য আনন্দের একটি বিষয় ছিল বলে জানান চাভি।
৪৪ বছরের খরা কাটিয়ে ২০০৮ সালে স্পেনকে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন চাভি। আর ২০১০ সালের বিশ্বকাপও জেতেন তিনি। এরপর ২০১২ সালেও স্পেনকে ইউরো জেতাতে সাহায্য করেন চাভি।
ক্যারিয়ারে এতকিছু অর্জন করা চাভি খেলোয়াড়ি জীবন শেষ করে ফুটবলার তৈরির কারিগর হবেন বলে জানান।