গত বছর রিয়ালের হয়ে ইউরোপ সেরার এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা জেতার পর ইউভেন্তুসে যোগ দেন মোরাতা। আর ইতালির এই ক্লাবের হয়ে প্রথম মৌসুমেই ইউরোপের শ্রেষ্টত্ব অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন তিনি। শেষ বাধা বার্সেলোনাকে হারাতে পারলে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে টানা দ্বিতীয় বছরে ভিন্ন দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতবেন ২২ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
আগামী শনিবার বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দুই দলের সামনেই আছে ‘ট্রেবল’ জয়ের হাতছানি।
রিয়াল ছাড়লেও দলটির প্রতি মোরাতার ভালোবাসা কমেনি। মাদ্রিদের দলটির বিপক্ষে ইউভেন্তুসের সেমি-ফাইনালে দেখা হওয়ায় আবেগের জায়গা থেকে লড়াইটা বড় কঠিন হয়ে পড়ে মোরাতার জন্যে। দুই লেগেই গোল করে ইতালির ক্লাবটিকে ফাইনালে তোলেন তিনি।
ইউভেন্তুস স্টেডিয়ামে ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে প্রথম গোলটি করেন মোরাতা। আর সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে দ্বিতীয়ার্ধে তার করা গোলেই সমতায় ফিরে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে ইউভেন্তুস।
“আমি জিততে চাই, কারণ আমি এটাও জানি যে, রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের জন্য এর অর্থ কি। অবশ্যই বার্সেলোনার বিপক্ষে গোল করাটা রিয়ালের বিপক্ষে (সেমি-ফাইনারে) গোল করার মতো কষ্টদায়ক হবে না, কিন্তু উদযাপনের ভাবনার আগে আমাকে আসলে গোল করতে হবে।”
রিয়াল সমর্থকদের জন্যে গোল করতে চাইলেও এটা তার জন্যে বাড়তি কোনো অনুপ্রেরণা নয় বলে জানালেন মোরাতা।
“আপনি যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলবেন তখন বাড়তি কোনো অনুপ্রেরণা আপনার দরকার নেই, কিন্তু বার্সার মুখোমুখি হওয়াটা সবসময় আমার জন্যে বিশেষ কিছু।”