তারকায় ভরা বার্সেলোনার চেয়ে শক্তির বিচারে বিলবাও বর্তমানে অনেক পিছিয়ে আছে ঠিকই, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে জয়-পরাজয়ের হিসেবে দলটির সাফল্য কিন্তু বেশ ভালো। সব প্রতিযোগিতা মিলে শেষ ২০ ম্যাচে মাত্র চারটিতে হারা ক্লাবটি শেষ ৭ ম্যাচে অপরাজিত আছে। আর গত শনিবার লিগের শেষ রাউন্ডে ভিয়ারিয়ালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত কিছুর আভাস দিয়ে রেখেছে দলটি।
গত দেড় দশকে ইউরোপের সবচেয়ে সফল দল বার্সেলোনা এরই মধ্যে এবারের লা লিগার শিরোপা ঘরে তুলেছে। আর এই বছরের শুরু থেকে তারা যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে, তাতে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো ট্রেবল জয়ের লক্ষ্যটা খুব কাছে বলেই মনে হচ্ছে।
লিওনেল মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেসে গড়া আক্রমণভাগের অসাধারণ নৈপুণ্যে গত কয়েক মাসে অপরাজেয় হয়ে উঠেছে বার্সেলোনা। এই মৌসুমে এ পর্যন্ত তিন জন মিলে ১১৭টি গোল করেছেন।
রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে লিগ শেষ করা বার্সেলোনা এবারের কোপা দেল রেতে তো আরও ভয়ঙ্কর দল। এই প্রতিযোগিতায় এবার ৮ ম্যাচ খেলে সবকটিতে জেতা দলটি মোট ৩১ গোল করে। সাফল্যের ধারাবাহিকতা শনিবার ধরে রাখতে পারলে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার এই শিরোপা সংখ্যা দাঁড়াবে ২৭টি।
এবার সেই শিরোপা খরা কাটাতে চায় তারা। স্বপ্ন পূরণ করতে হলে অবশ্য রীতিমত ‘অঘটন’ ঘটাতে হবে দলটিকে। একটা কারণ তো অবশ্যই বার্সেলোনার দুর্দান্ত ফর্ম, সঙ্গে কাম্প নউয়ে তাদের ১৪ বছরের জয় খরাও যে কাটাতে হবে। এই মাঠে ২০০১ সালের পর আর জেতেনি তারা।
এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে বার্সেলোনার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়েও অনেক পিছিয়ে বিলবাও। মোট সাতবার এই দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে ৫ বার জিতেছে বার্সেলোনা, দুইবার বিলবাও। ২০০৯ ও ২০১২ সালে শেষ দুই ফাইনালের বিজয়ী দলের নাম বার্সেলোনা।
তাই ইতিহাস বিলবাওয়ের জন্য কিছুটা আশাব্যাঞ্জক হলেও, সব মিলিয়ে বাজিটা বার্সেলোনার পক্ষেই যায়। আর যে দলে নেইমার ও সুয়ারেসের মতো দুই তারকার পাশে থাকছে টানা চারবারের বর্ষসেরা মেসি, সেখানে লুইস এনরিকের দলের সাফল্যই তো প্রত্যাশিত। মাঠে নামলেই যে প্রতিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করে দেন বর্তমানের বিশ্ব সেরা এই ত্রয়ী।