দুর্নীতির অভিযোগে ৭ ফিফা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ফিফার প্রভাবশালী দুই সহ-সভাপতিসহ সাত কর্মকর্তাকে জুরিখের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2015, 07:42 AM
Updated : 27 May 2015, 12:15 PM

শুক্রবার ফিফার সভাপতি নির্বাচনের আগে এই ঘটনা ঘটল।
 
যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের অনুরোধে সুইস পুলিশ বুধবার বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই কর্মকর্তাদের আটক করে। সুইস কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই কর্মকর্তারা লাখ লাখ ডলার ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
 
সুইস ফেডারেল অফিস অব জাস্টিস জানায়, ওই কর্মকর্তারা নব্বইয়ের দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি ডলার ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
 
গ্রেপ্তার কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন ফিফার উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের কনফেডারেশনের প্রধান সহ-সভাপতি জেফরি ওয়েব এবং আরেক সহ-সভাপতি ইউহেনিও ফিগুয়েরেদো।

এদিকে, এই গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর সুইস কর্তৃপক্ষ ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণ নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে।

সুইস ফেডারেল অফিস অব জাস্টিস জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া কর্মকর্তারা নব্বইয়ের দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকায় হওয়া ফুটবল টুর্নামেন্টে 'প্রায় ১০ কোটি ডলার' ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে 'অর্থ পাচারের' তদন্তের অংশ হিসেবে ফিফার সদরদপ্তর থেকে কিছু ইলেক্ট্রনিক উপাত্ত জব্দ করা হয়েছে।

সুইস পুলিশ জানায়, তারা ফিফার নির্বাহীর কমিটির ১০ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ইচ্ছুক। ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণের জন্য ২০১০ সালে ভোট প্রক্রিয়ায় তারা অংশ নিয়েছিলেন।

২০১৮ বিশ্বকাপ রাশিয়া এবং ২০২২ বিশ্বকাপ হবে কাতারে।

গত কয়েক বছর ধরেই ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের অভিযোগ উঠছে।  

ফিফার কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনাকে সংস্থার জন্যে কঠিন সময় উল্লেখ করে ফিফার মুখপাত্র ওয়াল্টার ডি গ্রেগরিও বলেন, "এটা আমাদের জন্যে কঠিন সময়, কিন্তু ফিফার জন্যে এটা ভালো। এটা নিশ্চিত করে যে, আমরা সঠিক পথেই আছি। এটা কষ্ট দেয়। এটা সহজ নয় কিন্তু এটাই চলার সঠিক পথ।"

ঘুষ নেওয়ার সন্দেহে এত বড় বড় কর্মকর্তার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা ফিফার জন্যে বিব্রতকর হলেও গ্রেগরি জানান, এতে শুক্রবারের নির্বাচনের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। এবং নির্বাচন থেকে সরেও দাঁড়াবেন না ব্লাটার। কারণ নির্বাচনের সঙ্গে কর্মকর্তাদের এই গ্রেপ্তার ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।

শুক্রবারের নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি জেপ ব্লাটারের প্রতিদ্বন্দ্বী জর্ডানের প্রিন্স আলি বিন আল-হুসেইন।