গত বুধবার নিজেদের মাঠ কাম্প নউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম পর্বে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারায় বার্সেলোনা।
দলকে ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে জোড়া গোল করেন মেসি। নেইমারের করা অপর গোলটিতেও অবদান রাখেন তিনি।
৭৭তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেন মেসি। দানি আলভেসের পাসটি অসাধারণ দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এরপর বাঁ পায়ের মাপা শট কাছের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান বার্সেলোনার তারকা ফরোয়ার্ড।
মেসি তার আসল জাদু দেখান তিন মিনিট পর। নিজের দ্বিতীয় গোলটি করার পথে জেরোম বোয়েটাংকে যেভাবে বোকা বানান, তাতে মুগ্ধ পুরো ফুটবল বিশ্বই।
৩০ গজ দূরে বল পেয়ে অসাধারণ কারিকুরিতে বোয়েটাংকে মাটিতে লুটিয়ে ফেলেন তিনি। এরপর চিপ করে বল নয়ারের মাথার উপর দিয়ে তিনি পাঠিয়ে দেন জালে।
বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা মেসিকে বর্ণনা করার ভাষাই খুঁজে পাচ্ছেন না।
"মেসির (দ্বিতীয়) গোল ছিল অনন্য। সে আপনাকে বাকহীন করে দেয়, কারণ যা কেউ করে না; মেসি তাই করে যাচ্ছে।"
মেসি-বন্দনার এক রাতে মাসচেরানোই মনে হয় আসল কথাটা বলে দেন।
"সে এমন একজন খেলোয়াড় যে, বর্ণনা করা যায় না। এটা শুধু… তাকে দেখতে হবে আপনাকে।"
না দেখলে আসলেই বোঝা সম্ভব নয় মেসি কী করেছেন বা কী করে যাচ্ছেন। কিন্তু যারা কাছ থেকে মেসির এই কীর্তি দেখেন, তারা তো মেসিকে প্রশংসায় ভাসাবেনই। বার্সেলোনা লুইস এনরিকের কাছে "মেসি ভিন্ন মাত্রার খেলোয়াড়।"
কোচ বা সতীর্থরাই শুধু নন, মেসিকে এদিন প্রশংসা বৃষ্টিতে ভাসান সাবেক অনেক ফুটবলারই। ইংল্যান্ডের সাবেক স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার অনলাইনে সামাজিক যোগযোগের মাধ্যম টুইটারে মেসির প্রশংসা করেন।
"মেসির খেলা দেখাটা দারুণ এক আনন্দ।"
নেদারল্যান্ডস ও বার্সেলোনার সাবেক স্ট্রাইকার প্যাট্রিক ক্লুইভার্ট বলেন, "সত্যি সে অন্য গ্রহ থেকে এসেছে।"
প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখের কোচ পেপ গার্দিওলা ম্যাচের আগে যেমন মেসিকে প্রশংসায় ভাসান, তেমনি ম্যাচ শেষেও তাকে প্রাপ্য পাওনা মিটিয়ে দেন।
"আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে, সে যেন খেলায় না থাকে এবং বল না পায়। কারণ, যখন সে (এটা) পাবে, তখন আপনি কিছু করতে পারবেন না।"