বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এশিয়ান ট্যুর গলফ আয়োজনের সিদ্ধান্ত পাকা হয়েছিল গত এপ্রিল মাসে।
সোমবার বসুন্ধরা গ্রুপ, বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশন আর এশিয়ান ট্যুর কতৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানায়।
৩ লাখ ডলার প্রাইজমানির এই আসর ২৭ মে শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ মে। চার দিনে চার রাউন্ডের খেলা হবে কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে। তবে আয়োজকরা জানিয়েছেন, বিরূপ আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সাভার গলফ কোর্সকে প্রয়োজনের ‘বিকল্প ভেন্যু’ হিসেবে ধরে রেখেছেন তারা।
আয়োজকদের চিন্তা সফল আয়োজন নিয়ে; অন্যদিকে জামাল, সজীবদের চিন্তা চেনা কোর্সে খেলার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেরা সাফল্য তুলে নেওয়ার।
এ বছরই পেশাদার গলফের আঙিনায় পা রাখা সজীব আলি বলেন, “এবারই প্রথম আমাদের দেশে এশিয়ান ট্যুর গলফ হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ এবং এটা কাজে লাগাতে চাই।”
সর্বশেষ প্যাট্রন কাপে সিদ্দিকুর রহমানকে পেছনে ফেলে শিরোপা জিতেন জামাল হোসেন। প্যাট্রন কাপের ওই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন গলফেও চান তিনি।
“এটা আমাদের চেনা কোর্স। আমরা জানি কোন শট কোথায় গিয়ে পড়বে এবং সেখান থেকে কি করতে হবে। তাই আমাদের সামনে ভালো সুযোগ আছে। আশা করি নিজেদের কোর্সে খেলার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারব।”
“এই প্রথম আমাদের দেশে এশিয়ান ট্যুর গলফের আসর বসছে। এটা চলতে থাকলে আমাদের গলফ আরও অনেক এগিয়ে যাবে”, যোগ করেন তিনি।
অবশ্য যাকে ঘিরে বাংলাদেশের গলফপ্রেমীদের আশা সবচেয়ে বেশি, সেই সিদ্দিকুর রহমান সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না। তিনি ব্যস্ত মরিশাসের এক আসরে খেলা নিয়ে।
তবে এশিয়ান ট্যুর কতৃপক্ষের প্রতিনিধি হয়ে আসা ফ্রিটজ কাটজেনগ্রুবার অবশ্য বল বয় থেকে সিদ্দিকুরের দেশসেরা গলফার হয়ে ওঠা, ২০১০ সালের ব্রনাই ওপেন ও ২০১৩ সালে হিরো ইন্ডিয়ান ওপেন জয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করে জানালেন, বাংলাদেশের গলফ এগিয়ে যাবে।
বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন গলফ টুর্নামেন্টের নিবন্ধন চলবে ৬ মে পর্যন্ত। ফলে এবারের আসরে মোট কতজন গলফার অংশ নেবেন, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি আয়োজকরা।
অবশ্য বাংলাদেশের মোট ৩০ জন গলফার নিজেদের কোর্সে হওয়া প্রথম এশিয়ান ট্যুরের আসরে সাফল্যের জন্য লড়বেন। এদের মধ্যে ২৫ জন পেশাদার ও বাকি ৫ জন ‘অ্যামেচার’ গলফার।