সেভিয়ার মাঠে শনিবার রাতে লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের ৩-২ ব্যবধানের জয়ে সবকটি গোল একাই করেন রোনালদো।
২০০৯ সালে রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়ালে আসার পর থেকেই তার সঙ্গে মেসির নানামুখী লড়াইয়ের শুরু। এক মৌসুমে স্পেনের ঘরোয়া লিগের পাশাপাশি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে ওঠার লড়াইটাও অধিকাংশ সময় তাদের দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
আর গত কয়েক মাস ধরে যোগ হয়েছে নতুন আরেক লড়াই; লা লিগার সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা। গত ডিসেম্বরে কিংবদন্তি তেলমো সাররা ও আলফ্রেদো দি স্তেফানোকে ছাড়িয়ে ২৩ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েছিলেন রোনালদো।
রেকর্ডটা বেশি দিন একা উপভোগ করতে পারেননি রোনালদো, দুই মাস পরেই গত ফেব্রুয়ারিতে লেভান্তেকে উড়িয়ে দেয়ার ম্যাচে তিন গোল করে হ্যাটট্রিকের ওই রেকর্ডে ভাগ বসান মেসি।
পরের মাসেই রায়ো ভায়েকানোকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয়ার ম্যাচে ২৪তম হ্যাটট্রিক করে রেকর্ডটা একার করে নেন মেসি।
আর এবার সেভিয়ার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে দলকে গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট এনে দিতে লিগে ২৫তম হ্যাটট্রিক করলেন রোনালদো, ছাড়িয়ে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বী মেসিকে।
সেভিয়ার জালে করা এই তিন গোলে আরও কিছু প্রাপ্তি যোগ হয়েছে রোনালদোর ভান্ডারে। রিয়ালের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে সর্বোচ্চ ২৯ হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েছেন তিনি; ২৮ হ্যাটট্রিকের রেকর্ডটির আগের মালিক স্তেফানোকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
রিয়ালের জার্সিতে ২৯ হ্যাটট্রিকের বাকি ৪টির মধ্যে ২টি করে রোনালদো করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আর কোপা দেল রেতে।
শনিবারের আগে ৩৯ গোল নিয়ে এবারের লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোই ছিলেন, এক গোল কম করে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন মেসি। কিন্তু এ দিনের প্রথম ম্যাচে করদোবাকে ৮-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করতে জোড়া গোল করে গোলদাতার তালিকার শীর্ষে ওঠেন মেসি।
মেসি-রোনালদোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কতটা তীব্র, তার প্রমাণ মেলে খানিক বাদেই। বার্সেলোনার বিশাল ওই জয়ের দুই ঘণ্টা পর মাঠে নামে রিয়াল, আর সেখানে তিন গোল করে ফের মেসিকে ছাড়িয়ে যান রিয়ালের সেরা তারকা; ৪২ গোল নিয়ে ওঠেন তালিকার শীর্ষে।