সেল্তাকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে থাকল রিয়াল

কাম্প নউয়ে বার্সেলোনাকে চমকে দেওয়া সেল্তা দি ভিগো এ দিনও অঘটনের আভাস দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি পয়েন্ট তালিকার নবম স্থানে থাকা দলটি, ৪-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2015, 09:02 PM
Updated : 28 April 2015, 04:45 AM

এই জয়ে লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান ফের ২ পয়েন্টে কমিয়ে আনল রিয়াল। ৩৩ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৮১। সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৭৯।

গত নভেম্বরে বার্সেলোনাকে তাদেরই মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছিল সেল্তা। রোববার রাতেও শুরুতে অমন কিছুরই আভাস দেয় দলটি।

ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই রিয়ালের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে সেল্তার আক্রমণভাগ। নবম মিনিটে নোলিতোর একক নৈপুণ্যে এগিয়েও যায় তারা।

গোলটিতে নোলিতোর দারুণ পারফরম্যান্স চোখে পড়লেও দায় এড়াতে পারবেন না রিয়াল গোলরক্ষক। ডি বক্সের মধ্যে বাঁ-দিকে দুজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে কিছুটা ডান দিকে সরে এসে যে শটটি নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার, তার দিক বুঝতেই পারেননি ইকের কাসিয়াস।

পিছিয়ে পড়ে যেন হুঁশ ফেরে রিয়ালের খেলোয়াড়দের, বল দখলে নিয়ে আক্রমণে উঠতে থাকে রোনালদোরা। ছয় মিনিটের মধ্যে সমতাসূচক গোলও পেয়ে যায় তারা।

১৬ গজ দূর থেকে জার্মান মিডফিল্ডার ক্রুসের গোলটিতে বড় অবদান ছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। দানিয়েল কারবাহালের পাস পেয়ে রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে গোললাইনের কাছ থেকে আড়াআড়ি বল বাড়ান পর্তুগিজ তারকা। গোলমুখে সেটা ঠেকিয়ে দেন সেল্তার এক খেলোয়াড়, কিন্তু ফিরতি বল পেয়ে যান ক্রুস।

আট মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়ালের হাভিয়ের এরনান্দেস। ডান দিক দিয়ে হামেস রদ্রিগেসের সঙ্গে দুবার বল দেওয়া নেওয়া করে ডি বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই মেক্সিকান স্ট্রাইকার।

এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি রিয়ালের; ২৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ২-২ করেন সান্তিয়াগো লরেন্সো। পাল্টা আক্রমণে দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে আসা কাসিয়াসকে পরাস্ত করেন তিনি। তার দুর্বল শটটি গোলমুখে ঠেকিয়ে দেন মার্সেলো, কিন্তু দ্রুত ছুটে এসে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বল জালে জড়ান ১৯ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।

৪১তম মিনিটে ফের এগিয়ে যেতে পারত রিয়াল, কিন্তু রোনালদোর কোনাকুনি শট পোস্টে বাধা পায়।

দুই মিনিট পরেই রদ্রিগেসের গোলে ফের এগিয়ে যায় রিয়াল। রোনালদোর বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন কলম্বিয়ার এই মিডফিল্ডার, যা প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

বিরতির পর আবারও রিয়ালের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। প্রথম ১৫ মিনিটে বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণও করে তারা, কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি।

৬২তম মিনিটে পাল্টা-আক্রমণে দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেন রোনালদো, কিন্তু তার দুর্দান্ত ক্রস আয়ত্তে পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন এরনান্দেস।

৬৯তম মিনিটে অবশ্য আর ব্যর্থ হননি এরনান্দেস। মাঝ মাঠের কাছাকাছি জায়গা থেকে সের্হিও রামোসের লম্বা করে বাড়ানো বল দারুণ দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে আসা এই ফুটবলার।

এরনান্দেসের এই গোলের মধ্য দিয়ে রিয়ালের জয়টাও নিশ্চিত হয়ে যায়।