কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলে জেতায় শেষ চারের টিকেট একরকম নিশ্চিতই হয়ে আছে বার্সেলোনার। এবার আবার ঘরের মাঠে খেলার বাড়তি সুবিধাও থাকছে কাতালুনিয়া দলটির। তবে লুইস এনরিকের দলের নড়বড়ে রক্ষণ কিঞ্চিৎ হলেও ফরাসি ক্লাবটিকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তাছাড়া গত ম্যাচে দলে না থাকা তারকা স্ট্রাইকার জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের ফেরাও সাহসী করে তুলবে দলটিকে।
বার্সেলোনার মাঠ কাম্প নউয়ে মঙ্গলবার রাত পৌনে একটায় শুরু হবে ফিরতি লেগের ম্যাচটি।
গত ১১ এপ্রিল লিগে সেভিয়ার মাঠে দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করায় হয়তো অজানা এক ভয়ই ভর করেছিল বার্সেলোনা সমর্থকদের মনে। তবে তার তিন দিন পরেই পিএসজির মাঠে দুর্দান্ত এক জয়ে সব শঙ্কা দূর করে দলটি। এর মধ্যে লিগেও জয়ের পথে ফিরেছে তারা; গত শনিবার ভালেন্সিয়াকে ২-০ গোলে হারায় মেসিরা।
সেভিয়ার মাঠে ওই হোঁচটের ধাক্কা কাটিয়ে আবারও ছন্দে ফেরা বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় শক্তি যে তাদের আক্রমণভাগ, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। এই বছরের শুরু থেকে লিওনেল মেসি, নেইমার ও লুইস সুয়ারেসরা আছেনও অসাধারণ ফর্মে।
প্রথম লেগে বড় জয় কিংবা তারকাদের দুর্দান্ত ফর্ম, সবকিছু মিলে সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলেও কাজ এখনও শেষ হয়নি বলেই মনে করেন বার্সেলোনার কোচ লুইস এনরিকে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথম লেগের ফলটা ভালো, কিন্তু তাতে সবকিছু নির্ধারিত হয়নি। লড়াইটা শেষ করতে আমাদের সত্যিই ভালো খেলতে হবে।”
বার্সেলোনার জার্সিতে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিপক্ষের গোলমুখে সবচেয়ে বেশি আলো ছড়াচ্ছেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেস; পিএসজির মাঠে সহজ জয়ে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে দলকে প্রথম মিনিটে এগিয়ে দেয়ার কৃতিত্বও তার। ক্লাবের হয়ে শেষ ১৬ ম্যাচে ১৪ গোলে করেছেন তিনি।
মাঝে কয়েক ম্যাচে গোলখরায় ভুগলেও ফের পুরনো রূপে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন নেইমার; পিএসজির মাঠে ১৮তম মিনিটে তিনিই দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। আর ভালেন্সিয়ার জালে শেষ মুহূর্তে বল পাঠিয়ে গোল করার ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন মেসি।
বিশ্বের অন্যতম সেরা তিন তারকায় গড়া আক্রমণভাগ যেমন বার্সেলোনাকে আরেকটি জয় দিয়ে শেষ চারে ওঠার আশা জাগাচ্ছে, তেমনি দলটির রক্ষণের দুর্বলতা আবার চমৎকার কিছুর স্বপ্ন দেখাচ্ছে পিএসজিকে।
এই মৌসুমে বেশ কয়েকবার রক্ষণ নিয়ে সমস্যায় পড়তে দেখা গেছে বার্সেলোনাকে। বিশেষ করে দানি আলভেসের ফর্মহীনতা বেশি ভোগাচ্ছে তাদের। হাভিয়ের মাসচেরানোও তেমন ছন্দে নেই। তবে মৌসুমের শুরুতে খারাপ সময় কাটানো জেরার্দ পিকে একটু একটু করে নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছেন।
তাই শক্তিশালী আক্রমণভাগের বিপক্ষে মাঝে মধ্যে খেই হারিয়ে ফেলা আলভেস-মাসচেরানোদের দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারলে চমক ঘটাতে পারে পিএসজি।