রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তির কপালে দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় ভাঁজটি নিশ্চয় ফেলেছে মদ্রিচের চোট। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চদশ মিনিটে বড় ধাক্কাটি খায় তারা, হাঁটুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন দারুণ ফর্মে থাকা ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার।
পরে রোববার ক্লাবের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, মদ্রিচের হাঁটুর লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই কারণে এই মৌসুমে লিগের আর কোনো ম্যাচে খেলা নাও হতে পারে তার।
হাঁটুর চোটের কারণে মালাগার বিপক্ষে মাঠেই নামতে পারেননি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। আর ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে যোগ হয় বেলের চোট; পায়ের পেশিতে ব্যথা পেয়ে বাইরে চলে যান তিনি। পরে বড় থাক্কা হয়ে আসে মদ্রিচের চলে যাওয়া।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৩-১ ব্যবধানে ম্যাচটি জিততে রিয়ালের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। আর এই জয়ে লিগে বার্সেলোনার সঙ্গে দুই পয়েন্টের ব্যবধানও ধরে রেখেছে তারা। কিন্তু শিরোপা জিততে যে এখনও অনেকটা পথ বাকি।
লা লিগার এখনও ৬ রাউন্ড বাকি। তাই ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকতে শেষ অবধি জয়ের ধারা ধরে রাখার বিকল্প নেই সমান ৩২ ম্যাচে ৭৬ পয়েন্ট পাওয়া রিয়ালের।
আগামী বুধবার আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে ফিরতি লেগে খেলবে রিয়াল। গত সপ্তাহে গোলশূন্য ড্র হওয়া প্রথম লেগে চোট পেয়েছিলেন বেনজেমা। তবে গত শুক্রবার আনচেলত্তি জানিয়েছিলেন, ঘরের মাঠে ফিরতি লেগে ফরাসি এই স্ট্রাইকারের খেলতে কোনো সমস্যা নেই।
২০১৩-১৪ মৌসুমে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে যোগ দেয়া বেল শেষ পর্যন্ত যদি খেলতে নাও পারেন, তাহলে তার শূন্যস্থান পূরণে আনচেলত্তির হাতে ইসকো ও হেসে রদ্রিগেসের মতো কিছু পরীক্ষিত বিকল্প খেলোয়াড় অবশ্য আছে।
নিজের জায়গা পাল্টে তারকা মিডফিল্ডার হামেস রদ্রিগেসও বেলের জায়গায় খেলতে পারেন। কিন্তু ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দ্রুত চিন্তা করতে এবং চতুর পাস দিতে পারা মদ্রিচের শুন্যতাটাই হয়তো বেশি ভোগাবে স্পেনের সফলতম দলটিকে।