এই ম্যাচে চেলসির জয়ের নায়ক এডেন হ্যাজার্ড; একমাত্র গোলটি করেন তিনি।
এই জয়ের ফলে শীর্ষে চেলসির অবস্থান আরও মজবুত হলো; ৩২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট বেড়ে হলো ৭৬। সমান ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ইউনাইটেড।
মাঠের পাশাপাশি ডাগআউটেও এই ম্যাচে ছিল ভিন্ন এক লড়াইয়ের আমেজ। ইউনাইটেডের বর্তমান কোচ লুইস ফন গাল বার্সেলোনার কোচ থাকার সময় মরিনিয়ো ছিলেন সহকারী। দুই জনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা এখনও অটুট। তবে শনিবার রাতে গুরুকে হারিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়লেন শিষ্য।
ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগের সফলতম দল হলেও চেলসির বিপক্ষে তাদের মুখোমুখি লড়াইয়ের গত কয়েক ম্যাচের ফল বড় হতাশাজনক; গত সাতবারের দেখায় একবারও জিততে পারেনি তারা। তবে লুইস ফন গালের শিষ্যদের লিগে টানা ছয় জয় ব্লুদের বিপক্ষে ইউনাইটেডের জয় খরা কাটানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিল।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শনিবারের ম্যাচে ইউনাইটেডের শুরুটাও ছিল আশাব্যঞ্জক, যদিও ওয়েইন রুনি-লুক শর গোছানো আক্রমণটা ফলপ্রসু হয়নি। চতুর্থ মিনিটে গোললাইনের কাছ থেকে শর ব্যাকপাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শট নেন রুনি; কিন্তু বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
এই সময়ে চেলসিও খুব যে আহামরি খেলেছে, তাও কিন্তু না। তবে ৩৮তম মিনিটে উল্লেখ করার মতো প্রথম সুযোগ পেয়েই কাজে লাগান এডেন হ্যাজার্ড।
মাঝ মাঠে স্বাগতিক ডিফেন্ডার জন টেরির কাছে রাদামেল ফালকাও বল হারালে সতীর্থের পা ঘুরে সেটা পেয়ে যান অস্কার। আর ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডারের ব্যাকহিল করে বাড়ানো বল ধরে দ্রুত ডি বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে গোলটি করেন বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার হ্যাজার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে ব্যাবধান দ্বিগুণ করার জোড়া সুযোগ নষ্ট করে চেলসি; প্রথমে দিদিয়ের দ্রগবার শট একটুর জন্যে লক্ষভ্রষ্ট হয়, পর মুহূর্তে দুরূহ কোণ থেকে হ্যাজার্ডের শট ক্রসবারে লাগে।
৬১তম মিনিটে আরেকটি দুরপাল্লার শটে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ইউনাইটেড। কিন্তু আইরিশ মিডফিল্ডার প্যাট্রিক ম্যাকনায়ারের শট বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক থিবো করতোয়া।
পরের ১৫ মিনিটে চেলসির রক্ষণে চাপ বাড়িয়ে বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে ম্যানচেষ্টার উইনাইটেড়, কিন্তু বল জালে জড়াতে আর পারেরি তারা। ফলে আরেকবার চেলসির কাছে মাথানত করেই মাঠ ছাড়তে হয় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দলটিকে।