মেসি, সুয়ারেসের গোলে বার্সেলোনার দারুণ জয়

দারুণ ফর্মে থাকা লুইস সুয়ারেস আবারও জ্বলে উঠলেন, গোল পেলেন লিওলেন মেসিও। আর আক্রমণভাগের এই দুই তারকার নৈপুণ্যে ভালেন্সিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে লা লিগায় নিজেদের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে বার্সেলোনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2015, 04:19 PM
Updated : 18 April 2015, 05:15 PM

এই জয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট বেড়ে হলো ৩২ ম্যাচে ৭৮।

গত সপ্তাহে সেভিয়ার মাঠে হোঁচট খাওয়া বার্সেলোনার সামনে শীর্ষস্থান হারানোর শঙ্কা এড়াতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না। তাদের প্রতিপক্ষ চতুর্থ স্থানে থাকা ভালেন্সিয়ার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আবার দারুণ একটি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছিল।

ঘরের মাঠ কাম্প নউয়ে শনিবার দুর্দান্ত ফর্মে থাকা উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেসের গোলে প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।

ডান পায়ের কোনাকুনি শটে করা সুয়ারেসের গোলটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল মেসির। পাল্টা আক্রমণে মাঝমাঠের কাছ থেকে সের্হিও বুসকেতসের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডিফেন্ডারদের পায়ের কারুকাজে ফাঁকি দিয়ে ডানে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া সুয়ারেসকে পাস দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।

লা লিগার এ মৌসুমে সুয়ারেসের এটি একাদশ গোল। আর শেষ ১৬ ম্যাচে এটা তার চতুর্দশ গোল।

পিছিয়ে পড়লেও গত ৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকা ভালেন্সিয়া ছন্দে ফিরতে দেরি করেনি। তৃতীয় মিনিটে তো একটুর জন্যে গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় বার্সেলোনা; স্ট্রাইকার রদ্রিগোর ডান পায়ের কোনাকুনি শটটা পোস্টের অল্প দূর দিয়ে চলে যায়।

দশম মিনিটে আরও বড় হতাশা ঘিরে ধরে অতিথিদের; ডি বক্সের মধ্যে রদ্রিগোকে বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকে পেছন থেকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ভালেন্সিয়া। কিন্তু স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি পারেহোর দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো।

এরপর প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে বারবার আক্রমণ করতে থাকে ভালেন্সিয়া। বেশ কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিল তারা, কিন্তু সাফল্য মেলেনি। এর মধ্যে ৩৯তম মিনিটে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার পাসো আলকাসেরের শট পোস্টে লাগলে ফের বড় ধাক্কা খায় অতিথি দলটি।    

এর দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট করেন মেসি; ছোট ডি বক্সের সামনে ফাঁকায় বল পেয়েও ব্যর্থ হন তিনি, তার শটটি পোস্টের কয়েক ইঞ্চি দূর দিয়ে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে অবশ্য ফের মাঠের দখল নেয় স্বাগতিকরা। প্রথম ১৫ মিনিটে তো একরকম ভালেন্সিয়ার ডি বক্সের আশেপাশেই বল নিয়ে ঘোরাফেরা করতে থাকেন মেসি-নেইমাররা।

৬৪তম মিনিটে পোস্টে বল লাগার হতাশায় পুড়তে হয় মেসিকে, ডি বক্সের ডান কোণা দিয়ে মারা তার ফ্রি-কিক ঠেকানোর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক; কিন্তু বল লাগে ক্রসবারের প্রান্তে।

৭৫তম মিনিটে ফের ব্রাভোর নৈপুণ্যের কারণে হতাশ হতে হয় ভালেন্সিয়াকে; রদ্রিগোর শট বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক।

৮৮তম মিনিটে আবারও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হারায় বার্সেলোনা; সুয়ারেসের বদলে নামা পেদ্রোর জোরালো কোনাকুনি শট কর্নারের মাধ্যমে রক্ষা করেন ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক।

ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ভালেন্সিয়া যোগ করা সময়ের পুরোটা সময় জুড়েই সর্বশক্তি দিয়ে আক্রমণে ওঠে, আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই একেবারে শেষ সময়ে ব্যবধান ২-০ করেন মেসি।

মাঝ মাঠে বল পেয়ে বিনা বাধায় ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। অবশ্য তার প্রথম শটটি ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন গোলরক্ষক, তবে ফিরতি বল পেয়ে জালে পাঠান টানা চারবারের বর্ষসেরা তারকা।

লিগের এবারের আসরে মেসির এটা ৩৫তম গোল। ৩৮ গোল নিয়ে শীর্ষে আছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।