এল সালভাদরের বিপক্ষে নামছে মেসিরা

প্রীতি ম্যাচ, প্রতিপক্ষ দুর্বল এল সালভাদর, তবে আর্জেন্টিনা দলে এই ম্যাচ নিয়ে প্রস্তুতির এতটুকু কমতি নেই। লিওনেল মেসি আর সের্হিও আগুয়েরোদের জন্য যে এটা ফুটবলের বড় মঞ্চে প্রায় ২২ বছরের শিরোপা-খরা কাটানোর অভিযানের প্রস্তুতির একটা উপলক্ষ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 March 2015, 02:21 PM
Updated : 27 March 2015, 02:21 PM

এবারের কোপা আমেরিকার শিরোপা জিততে মরিয়া আর্জেন্টিনা। এই লক্ষ্যে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে মেসিদের। আগামী শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডের ফেডেক্সফিল্ডে এল সালভাদরের বিপক্ষে ম্যাচটি সেই প্রক্রিয়ারই অংশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আড়াইটায়।

১৯৯৩ সালে লাতিন আমেরিকার সর্বোচ্চ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। তারপর থেকে এই প্রতিযোগিতার সাতটি আসর এবং ছয়টি বিশ্বকাপের প্রতিটি থেকেই শূন্য হাতে ফিরতে হয় দিয়েগো মারাদোনার দেশকে।

গত বছর ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জার্মানির কাছে একমাত্র গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালের পর বিশ্বকাপে আরেকটি শিরোপা জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে যায় মেসিদের।     

বিশ্বসেরার মুকুট না জুটলেও মহাদেশ সেরার মর্যাদা আর হাতছাড়া করতে চায় না আর্জেন্টিনা। স্বপ্ন পূরণের সে লক্ষ্যে তাই সর্বোচ্চ প্রস্তুতিটাই নিতে চায় দলটি। এ কারণেই হয়ত প্রতিপক্ষ তুলনামূলক দুর্বল হলেও কোচ জেরার্দো মার্তিনো তার সব মহারথিদেরই দলে রেখেছেন। মেসি, আগুয়েরোদের সঙ্গে আছেন কার্লোস তেভেসও।

ভ্রমণ ক্লান্তি দূর করতে আর নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্রে একটু আগেভাগেই পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ততা ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে গত তিন দিনে ওয়াশিংটনের জর্জটাউনে অনুশীলন করেন মেসিরা। 

এল সালভাদরের বিপক্ষে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মাঠে নামতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। এর আগে ১৯৮২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মধ্য আমেরিকার দেশটির বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছিল তারা।  

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও মধ্য আমেরিকার দেশটির চেয়ে অনেক এগিয়ে আর্জেন্টিনা। এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনা র‌্যাঙ্কিংয়ের দিক দিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা দল। আর এল সালভাদর আছে ৮৯তম স্থানে। প্রিয় দলের বড় জয়ের আশা করতেই পারে আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা।

দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অবশ্য খুব একটা ভালো নয়। ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর থেকে ৫ ম্যাচ খেলে ৩টি জিতলেও দুটিতে হারে তারা। সবশেষ হারটি গত নভেম্বরে, পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবশেষ ম্যাচে হারের অভিজ্ঞতা হলেও সে হতাশা কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী আর্জেন্টিনা। আর দলের আক্রমণভাগের তারকারা নিজেদের ক্লাবগুলোয় রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে।

বিশেষ করে টানা চারবারের বর্ষসেরা তারকা মেসি তো এই বছরের শুরু থেকে দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলেছেন; ক্লাব বার্সেলোনার জার্সিতে একের পর এক গোল করে এরই মধ্যে লা লিগার শীর্ষ গোলদাতা হয়ে গেছেন তিনি। আক্রমণভাগের অন্য দুই তারকা তেভেস আর আগুয়েরোও তাদের ক্লাবের হয়ে নিয়মিত গোল করে যাচ্ছেন।

আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে প্রেরণা খুঁজে নেওয়ার উপলক্ষ আছে এল সালভাদরের। টানা চার ম্যাচ হারার পর গত নভেম্বরে নিকারাগুয়াকে ২-০ গোলে হারানোর স্মৃতি এখনো টাটকা তাদের।