ব্রাজিলের অন্য দুটি গোল করেন অস্কার ও লুইস গুস্তাভো। আর ফ্রান্স ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল রাফায়েল ভারানের গোলে।
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া কোচ দুঙ্গার অধীনে এখন পর্যন্ত ৭টি ম্যাচ খেলে সবকটিতেই জিতল ব্রাজিল।
ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ হতাশা পেছনে ঠেলে দুঙ্গার অধীনে টানা ৬ ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে খেলতে নামে ব্রাজিল। গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ছিটকে পড়ার পর থেকে অপরাজেয় ছিল ফরাসিরাও। তবে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নয়, ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামে এ রাতে হয়তো দুই দলের খেলোয়াড়দের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছিল ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি।
দুই দলের কোনো খেলোয়াড়ই ১৭ বছর আগের ওই ম্যাচে ছিলেন না। কিন্তু সেই রাতের ওই লড়াইয়ের দুই সেনাপতি বৃহস্পতিবার রাতে মাঠেই ছিলেন। সেই ম্যাচে দুই দলের অধিনায়ক দুঙ্গা ও দিদিয়ের দেশম এদিন ছিলেন ব্রাজিল ও ফ্রান্সের ডাগআউটে দুই দলের কোচ হিসেবে।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত স্বাগতিকরা, ছোট ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে হেড করেছিলেন করিম বেনজেমা। কিন্তু গোললাইন থেকে দারুণ দক্ষতায় সেটা ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক জেফারসন।
এরপর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারায় ব্রাজিল; ২০তম মিনিটে বাঁ-দিক থেকে কোনাকুনি শট নিয়েছিলেন নেইমার, কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে সেটা ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক।
২৮তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ নষ্ট করে ফ্রান্স, পরের মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ হারায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে আচমকা শটে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন ব্রাজিল মিডফিল্ডার গুস্তাভো, কিন্তু বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ধরে ফেলেন গোলরক্ষক। ৫৬তম মিনিটে সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন চিয়াগো সিলভা, কিন্তু খুব কাছ থেকেও বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি।
পরের মিনিটেই দুর্দান্ত এক গোলে দলকে ম্যাচে এগিয়ে দেন নেইমার। উইলিয়ানের কোনাকুনি পাস ধরে বাঁ-দিকের দুরূহ কোণ থেকে বাঁ-পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান বার্সেলোনার এই তারকা।
জাতীয় দলের হয়ে গত ১৫ ম্যাচে নেইমারের এটা ষোড়শ গোল; আর ক্যারিয়ারের ৪৩তম গোলও এটা এই তারকার।
৭৭তম মিনিটে ফের নেইমার জাদুর দেখা মেলে; পেছনে লেগে থাকা দুই জন ডিফেন্ডারকে গতিতে পরাস্ত করে জোরালো শট নেন তিনি, কিন্তু বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
বাকি সময়ে দুই দলের কেউই তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় স্কোরলাইন আর বদলায়নি।