রোববার ম্যাচের প্রথমার্ধে জর্ডান হেন্ডারসনের গোলে লিভারপুল এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা ফিরিয়েছিলেন এদিন জেকো। দ্বিতীয়ার্ধে ফিলিপে কোতিনিয়োর গোলটি আর ফেরাতে পারেনি মানুয়েল পেল্লেগ্রিনির দল।
বার্সলোনার কাছে গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে হেরে শেষ আটে ওঠাটা কঠিন বানিয়ে ফেলে সিটি। অ্যানফিল্ডে হেরে চেলসির সঙ্গে শিরোপা লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ে হতাশা আরো বাড়ল তাদের।
তার দুই দিন পর বেসিকতাসের কাছে হেরে ইউরোপা লিগ থেকে ছিটকে পড়া লিভারপুল আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্থান করে নেওয়ার লড়াইয়ে ভালোভাবেই টিকে থাকল।
লিগের গত দুই রাউন্ডে ৯ গোল করা সিটির আক্রমণভাগ তুলনামূলক ভালো ফর্মে ছিল। তবে মৌসুমের শুরুতে সিটির কাছে ৩-১ গোলে হারা লিভারপুর শুরুটা করে ভালো। অষ্টম মিনিটেই জালে বল পাঠিয়েছিলেন মিডফিল্ডার অ্যাডাম লালানা, কিন্তু অফসাইডে ছিলেন এই ইংলিশ খেলোয়াড়।
ত্রয়োদশ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো অতিথিরা। কিন্তু সের্হিও আগুয়েরোর জোরালো শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
বেশিক্ষণ অবশ্য এগিয়ে থাকতে পারেনি স্বাগতিকরা। জেকোর সমতা ফেরানো গোলটি আসে ২৫তম মিনিটে। তবে গোলটিতে দারুণ অবদান ছিল আগুয়েরোর। আর্জেন্টিনা তারকার রক্ষণচেরা পাস পেয়েই বল জালে পাঠান বসনিয়ার স্ট্রাইকার জেকো।
৭৫তম মিনিটে ফিলিপে কোতিনিয়োর জয়সূচক গোলটা দুর্দান্ত। স্টার্লিংয়ের কাছ থেকে পাস পেয়ে ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের জোরালো কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ব্রাজিলের এই মিডফিল্ডার।
এই জয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট বেড়ে হলো ৪৮। সমান ২৭ ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৫৫। ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা চেলসি এই রাউন্ডে নিজেদের ম্যাচটা জিতলে সিটির শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা কমে যাবে।