রোববার গ্রানাদার মাঠে লুইস এনরিকের দলের পাওয়া জয়টি ৩-১ ব্যবধানের।
এ জয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমাল বার্সেলোনা। ২৫ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এনরিকের দল। আর বার্সেলোনার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল ৬০ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।
রোববার ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে রিয়াল জিতলে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান আবার ৪ হয়ে যাবে।
বার্সেলোনার জয়ে গোল তিনটি করেন রাকিতিচ, সুয়ারেস ও মেসি। স্বাগতিকদের হয়ে ব্যবধান কমানো গোলটি দেন ফ্রান রিক।
নিজেদের মাঠে শুরুতে বার্সেলোনাকে আটকে রেখেছিল গ্রানাদা। ভালো কিছু আক্রমণও করে তারা। কিন্তু বার্সেলোনার রক্ষণদেয়াল টপকাতে পারেনি গ্রানাদার ফরোয়ার্ডরা।
উল্টো দিকে বার্সেলোনার আক্রমণভাগের ত্রয়ী মেসি, নেইমার ও সুয়ারেসের খেলায় শুরুর দিকে যথেষ্ট ধার ছিল না।
শুরুর অগোছালো ভাব কাটিয়ে চতুর্থদশ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে যাওয়া মেসি দানি আলভেসকে ব্যাক পাস দিয়ে প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ঢোকেন। কিন্তু ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডারের দেয়া ফিরতি পাস মেসিকে খুঁজে পায়নি।
২১তম মিনিটে অফসাউডের ফাঁদে পড়ে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার। তবে ২৫তম মিনিটেই ইভান রাকিতিচের গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। জর্দি আলবার বাড়িয়ে দেয়া বলে সুয়ারেস শট নেন। হুয়ান তোরেস রুইস বলটি পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি ফাঁকায় থাকা রাকিতিচ।
৩৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় বার্সেলোনা। রাকিতিচের লম্বা পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মেসি ডানপায়ে জোরালো শট নিলেও তা পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
এক মিনিট পরই প্রথমার্ধে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পায় গ্রানাদা। ডি বক্সের বাইরে থেকে হঠাৎ শট নেন হাভি মার্কেস। কিন্তু বল ডানপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তাতে ১-০ স্কোরলাইন ধরে রেখে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।
৪৮তম মিনিটে সুয়ারেসের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের গোলে দারুণ অবদান রাকিতিচের। ডান প্রান্ত থেকে রাকিতিচের বাড়ানো বল গ্রানাদার গোলরক্ষক দ্রুত এগিয়ে এসে বিপদমুক্ত করার আগেই আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন সুয়ারেস।
চার মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ২-১ করেন গ্রানাদার রিকো। ডি বক্সের মধ্যে বল দখলের লড়াইয়ে স্বাগতিক দলের লাস বাঙ্গৌরাকে ফাউল করেন মার্ক বার্ত্রা। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও রিকোর শট রুখতে পারেননি গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো।
৭১ মিনিট অপেক্ষার পর গোল পান মেসি। তবে আর্জেন্টিনার এ ফরোয়ার্ডের গোলের পেছনে অসামান্য অবদান রাখেন সুয়ারেস। রাকিতিচের লম্বা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকে কাটান উরুগুয়ে তারকা। কিন্তু সামনে প্রতিপক্ষ দলের এক ফুটবলার থাকায় ‘ঝুঁকি’ না নিয়ে পাশে থাকা মেসিকে বল বাড়িয়ে দেন তিনি। অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন চারবারের বর্ষসেরা খেলোয়াড়।
৮৭তম মিনিটে দারুণ একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ব্রাজিল ফরোয়ার্ড নেইমারের নিখুঁত পাসে আর্জেন্টিনা ফরোয়ার্ডের নেয়া সরাসরি শট গোলরক্ষকের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। এরপরই পেদ্রোর দুর্বল শট আটকে দেন গ্রাদানা গোলরক্ষক। তাতে অবশ্য আটকায়নি বার্সেলোনার জয়।