‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এর আগেই অবশ্য মালয়শিয়া-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি হয়ে যাবে। ওই ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করবে মালয়েশিয়ার কাছে একমাত্র গোলে হারা স্বাগতিকদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লক্ষ্য কি থাকবে।
তবে শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর লক্ষ্যের কথাই জানান মামুনুল।
“ছোট ছোট ভুলগুলো আমরা শুধরাতে পারিনি। এগুলো শুধরে নিতে হবে। শ্রীলঙ্কা অনেক ভালো দল। ওদের বিপক্ষে জিততে হলে আমাদেরকে ভালো খেলতে হবে। জয়ের ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।”
প্রথম ম্যাচের হারের দায় নিজের মাথায় নিচ্ছেন মামুনুল।
“সতীর্থদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, কোনো কিছুর জন্য তাদেরকে কারো মুখোমুখি হতে হবে না। সব দায় আমার। সবটা আমি সামাল দেব। প্রথম ম্যাচে কি হয়েছে, সেটা এখন আর ভাবনা নয়। পরের ম্যাচে সবাই মিলে নিজেদের সেরাটা দিলে আশা করি লক্ষ্য পূরণ করতে পারব”, যোগ করেন তিনি।
নিজেদের মাঠে গোল্ড কাপের সেমি-ফাইনালে উঠতে না পারলে অধিনায়কের পদ ছেড়ে দেয়ার ইঙ্গিতও দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে দেয়া কথার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “প্রথম ম্যাচে হেরে মন কিছুটা খারাপ। একজনকে কথা দিয়ে এসেছি আমরা সেমি-ফাইনালে খেলব। যদি দল লক্ষ্য পূরণ না করতে পারে, তাহলে আমি সরে দাঁড়াব।”
মামুনুল জানান, মালয়শিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমার্ধে তার দল ছন্দে ছিল না, সেটাও স্বীকার করেন।
“প্রথমার্ধের কুড়ি-পচিশ মিনিট ওরা খুব প্রেসিং ফুটবল খেলেছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল, শুরুতেই ওদেরকে সারপ্রাইজ দেব কিন্তু উল্টো ওরাই আমাদেরকে সারপ্রাইজ করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেলেছি কিন্তু তারপরও একটা বাজে গোল খেলাম।”
ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ বলেছিলেন, তার ছাত্ররা ‘নার্ভাস’ ছিল। তবে মামুনুল কোচের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন।
“আমি নার্ভাসের কথা বলব না। আধুনিক ফুটবলে চাপ থাকবেই।”
এই চাপ জয় করেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচে সাফল্য চান মামুনুল। সোমবার বিকাল পাঁচটায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গোল্ড কাপের সেমি-ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য পূরণের ‘মিশনে’ নামবে তার দল।