মালয়েশিয়াকে দিয়ে শেষ চারের ‘মিশন’ শুরু মামুনুলদের

প্রায় ১৫ বছর পর মাঠে গড়াচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের আসরে গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারেনি আয়োজক বাংলাদেশ। এবার তা পেরিয়ে প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা। সে স্বপ্ন পূরণের মিশনে মামুনুল-এমিলিদের প্রথম প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দল।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরসিলেট থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2015, 05:10 PM
Updated : 28 Jan 2015, 05:10 PM

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় গোল্ড কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। মাঠ, দর্শক, পরিবেশ-সবই মামুনুলদের পক্ষে বলে অতিথি দলের কোচও একবাক্যে বলেছেন-বাংলাদেশই ‘ফেভারিট’।

কিন্তু মালয়েশিয়ার অনূর্ধ্ব-২৩ দলটিকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। অতিথি দলটির কোচ বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাদের অনূর্ধ্ব দলগুলো নিয়মিত সিঙ্গাপুরের লিগে খেলে। এই দলটিরও গত মৌসুমে সিঙ্গাপুরের লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

এএফসির র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের (৩৪তম) চেয়ে এগিয়ে মালয়েশিয়া (২৮তম)। তাই গোল্ড কাপে উড়ন্ত সূচনা চাইলেও বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ সাইফুল বারী টিটো প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন, “প্রতিপক্ষকে সমীহ করার ব্যাপারটা অবশ্যই থাকবে। আসলে প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন, তাকে সমীহ করতে হবে।”

নিজেদের মাঠে জাতীয় দলের খেলা সর্বশেষ তিন ম্যাচে প্রাপ্তি যেমন আছে, অপ্রাপ্তিও কম নয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত বছর খেলা প্রথম ম্যাচে যশোরে এগিয়ে গিয়েও ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ। তবে রাজশাহীর দ্বিতীয় ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছিল মামুনুলরা। এরপর জাপানের অনূর্ধ্ব-২১ দলের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৩-০ গোলে হেরেছিল স্বাগতিকরা। ওই তিন ম্যাচে ফরোয়ার্ডদের গোল করার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডে আছে জাহিদ হাসান এমিলি ও মিঠুন চৌধূরীর মতো তারকা। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ও জাপানের বিপক্ষের ম্যাচে এ জুটি জমেনি। গোল্ড কাপের প্রস্তুতি ম্যাচেও ফরোয়ার্ডদের সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও আছে। আবাহনীর কাছে ২-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে গোল পাননি এমিলিরা। তবে শেখ জামালকে ৩-০ গোলে হারানো ম্যাচে জোড়া গোল করেন এমিলি।

শেখ জামালের বিপক্ষের ম্যাচের ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ার বিপক্ষের উদ্বোধনী ম্যাচে চান টিটো, “শেখ জামালের বিপক্ষের ম্যাচে দেখিয়েছি আমরা ভালো খেলতে পারি। এখন আমাদের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচে জেতা জরুরি। এজন্য অবশ্য আপনাকে গোল পেতে হবে। শেখ জামালের বিপক্ষের প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা গোল পেয়েছি। সর্বোপরি, আমরা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছি।”

৪-৩-৩ আক্রমণাত্মক ছকে উদ্বোধনী ম্যাচের প্রতিপক্ষকে বধ করতে চাইছেন টিটো। জানুয়ারির শুরু থেকে গোল্ড কাপের প্রস্তুতি নেয়ায় দল সম্পর্কে তার মূল্যায়ন-শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত। বল পায়ে রেখে, গোছালো আক্রমণ করে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

আশাবাদী অধিনায়ক মামুনুল ইসলামও। এ মাঠে খেলা সর্বশেষ ম্যাচে সিলেটবাসীকে জয় উপহার দিতে পারেননি তিনি। নেপালের বিপক্ষে গত অগাষ্টের সেই ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার তাই সিলেটের ফুটবলপ্রেমীদেরকে জয় উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই মিডফিল্ডার।

প্রথম ম্যাচে প্রতিশ্রুতির সঙ্গে প্রাপ্তির সমীকরণ মিললেই গোল্ড কাপের সেমি-ফাইনালে খেলার লক্ষ্য পূরণের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।