বায়ার্ন মিউনিখের ওই তারকা ফরোয়ার্ড জানান, মানুয়েল নয়ারের ২০১৪ সালের এই পুরস্কার না পাওয়াটাই তার এই ধারণাকে সত্য প্রমাণিত করে।
২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ট্রেবল (উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, বুন্দেসলিগা ও জার্মানির লিগ কাপ) জেতার পরও ফিফা ব্যালন ডি’অরের প্রতিযোগিতায় রোনালদো ও মেসির নিচে থেকে তৃতীয় স্থান পান রিবেরি।
ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের জোরে সেবার ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতে নেন রোনালদো।
আর এবার বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানি দলের সদস্য হয়েও রোনালদো আর মেসির পেছনে থাকেন রিবেরির ক্লাব সতীর্থ নয়ার।
জার্মানির সংবাদপত্র এজেকে রিবেরি বলেন, “সত্যিই আমি খুব হতাশ ছিলাম, কিন্তু প্রতি বছরই বিষয়টা একই রকম। আমি জানি না ,এই পুরস্কার জিততে হলে আমাকে কি করতে হবে।"
২০১৪ সালে জাতীয় দলের হয়ে রোনালদো বলতে গেলে ব্যর্থই ছিলেন, যদিও ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ চারটি শিরোপা জেতেন তিনি। আর মেসি কোনো শিরোপা না জিতলেও ব্রাজিল বিশ্বকাপে দেশ আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলতে ভূমিকা রাখেন।
এই দুই জনের চেয়ে গোলরক্ষক নয়ারের দলীয় সাফল্য ছিল বেশি উজ্জ্বল। ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে বুন্দেসলিগাসহ দুটি শিরোপা জেতার পর দেশকে চতুর্থ বিশ্বকাপ জেতাতে অসাধারণ অবদান রাখেন তিনি। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও জেতেন তিনি। কিন্তু ফিফা ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে তৃতীয় হতে হয় তাকে।
নয়ার পুরস্কারটা না জেতায় রিবেরি নিজের মতের পক্ষে যেন আরও শক্ত যুক্তি পেয়ে গেছেন।
“এমনকি একজন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও (পুরস্কারটি জেতার) জন্যে যথেষ্ট নয়। তাহলে আপনি কি করবেন? গত দুই অথবা তিন বছরে, নয়ার বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক। বায়ার্নের হয়ে সে শিরোপা জিতেছে। ব্রাজিলে সে সেরা গোলরক্ষক ছিল এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এরপরেও তা যথেষ্ট ছিল না। আমি বিষয়টা বুঝতে পারছি না।”
২০০৬ সালে ফাবিও কানাভারোর ব্যালন ডি’অর জেতার কথাও উল্লেখ করেন রিবেরি। সে বছর ইতালিকে বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল এই ডিফেন্ডারের। সেবার আলাদা ভাবে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কারও জিতেছিল ডিফেন্ডার কানাভারো।
তখনও ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার যুক্ত হয়নি ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের দেয়া এই সম্মানের সঙ্গে। ২০১০ সাল থেকে ফিফা ও ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন একত্রে মিলে ফিফা ব্যালন ডি'অর দিচ্ছে।
২০০৮ সাল থেকে মেসি আর রোনালদোর বাইরে কেউ বর্ষসেরা পুরস্কার পায়নি। ২০০৯ সাল থেকে টানা চার বছর বর্ষসেরা পুরস্কার জেতেন মেসি। এর আগে ২০০৮ সালে জিতেছিলেন রোনালদো।
রিবেরি তাই বলেন, “প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জানা উচিত, যদি রোনালদো ও মেসি থাকে, তাহলে মনোনীত তৃতীয় খেলোয়াড়ের কোনো আশা করা উচিত হবে না।”