লড়াই করে বুসানের কাছে শেখ জামালের হার

পুরো ম্যাচে ভালো খেললেও শুরুর পাঁচ মিনিটে দুই গোল খেয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি শেখ জামাল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার দল বুসান আইপার্কের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়নরা।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2014, 01:23 PM
Updated : 27 Dec 2014, 01:44 PM

কোরিয়ার শীর্ষ লিগের চারবারের চ্যাম্পিয়ন বুসানের হয়ে কিম জিন গিউ ও ইয়োন দং মিন একটি করে গোল করেন।

শনিবার ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ডিফেন্সচেরা পাস ধরে গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেলকে একা পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বুসানের কিম জিন গিউ।

পঞ্চম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় অতিথিরা। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে যায় তারা। বক্সের বাঁ দিকে থাকা ইয়ুন দং মিন কোনাকুনি শটে গোল করেন।

দুই গোল খাওয়ার পর বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়নরা ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু ছন্দময় ফুটবল খেলে, গোছালো বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোল পায়নি ভুটান থেকে কিংস কাপ জিতে আসা দলটি।

২২তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় গোলের সুযোগ তৈরি করেন ওয়েডসেন এনসেলমে; কিন্তু নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের শট বুসানের বাঁ পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে চলে যায়।

পাঁচ মিনিট পর আরেকবার হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের। এবার সোহেল রানার লম্বা ক্রস থেকে ওয়েডসেনের মাপা হেডে বল যায় মামুনুল ইসলামের পায়ে। কিন্তু জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডারের শটও লক্ষ্যে থাকেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে বক্সের বাইরে এসে বল ধরে হলুদ কার্ড দেখেন শেখ জামাল গোলরক্ষক হিমেল। তবে ইউ জিনোর ফ্রি-কিক রক্ষণদেয়ালে বাধা পায়।

এরপর সাত মিনিটের ব্যবধানে দুটি সুযোগ নষ্ট করে শেখ জামাল। ৭৭তম মিনিটে এমেকা ডারলিংটন সতীর্থকে বল বাড়িয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত বক্সের মধ্যে নিজে বলের লাইনে পৌঁছাতে পারেননি। আর ৮৪তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে গেলেও শট নিতে দেরি করেন ওয়েডসেন।

শেষ দিকে ভাগ্যকেও পাশে পায়নি শেখ জামাল। ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে ওয়েডসেনের ফ্রি কিক রক্ষণদেয়াল টপকালেও ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।

এরপর সোহেল রানার জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান অতিথি গোলরক্ষক। নাসিরের শট প্রতিপক্ষের পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে গেলে স্বাগতিক সমর্থকদের হতাশা আরো বাড়ে।

শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে ব্যবধান কমানোর আরেকটি সুযোগ পায় শেখ জামাল। কিন্তু ওয়েডসেনের ফ্রি-কিক পোস্টের ডান কোনা দিয়ে ঢুকে যাওয়ার আগ মুহূর্তে অনেকটা লাফিয়ে রুখে দেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক।