শনিবার লা লিগায় নবাগত করদোভাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। বাকি গোল দু’টি করেন পেদ্রো ও জেরার্দ পিকে।
নিজেদের মাঠ কাম্প নউয়ে ম্যাচের দেড় মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ইভান রাকিতিচের লম্বা পাস দারুণভাবে আয়ত্তে নিয়ে বল জালে জড়ান নেইমারের জায়গায় খেলতে নামা পেদ্রো।
চোট থেকে সেরে ওঠা নেইমার স্কোয়াডে থাকলেও তাকে মাঠে নামাননি কোচ লুইস এনরিকে।
একাদশ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিলেন সুয়ারেস। জরদি আলবার ক্রসে তার ডান পায়ের শট লাগে বাইরের জালে।
বিরতির আগে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিলেন উরুগুয়ের এই তারকা। তবে রাকিতিচের ক্রস থেকে সুয়ারেসের শটটি লক্ষ্যে থাকেনি। প্রথমার্ধে বলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ রেখে সুযোগ তৈরি করেও গোল পায়নি মেসি-ইনিয়েস্তারাও।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে বার্সেলোনা। এর সুফলও পায় তারা। ৫৩তম মিনিটে লা লিগায় গোলের খাতা খোলেন সুয়ারেস।
ইনিয়েস্তা বল বাড়িয়েছিলেন বাঁয়ে পেদ্রোর কাছে। স্পেনের এই ফরোয়ার্ডের নিচু ক্রস বাঁ-পায়ে নিয়ন্ত্রেণে নিয়ে ডান পায়ের টোকায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সুয়ারেস।
মৌসুম শুরুর আগে লিভারপুল থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল পেলেও লা লিগার প্রতিটি ম্যাচেই হতাশ হতে হচ্ছিল উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারকে। লিগে অষ্টম ম্যাচে এসে গোলের দেখা পেলেন তিনি।
৮০তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা চাভির ফ্রি-কিকে লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করেন পিকে।
দুই মিনিট পরই স্কোরশিটে নাম ওঠান মেসি। কর্নার থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ড। সহজ সুযোগটি কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি তিনি।
যোগ করা সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোলে অবশ্য দারুণ নৈপুণ্যের ছাপ রাখেন চারবারের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসি। ডি বক্সের ভেতর আলবার ক্রস থেকে বাঁ-পায়ে বল নামিয়ে প্রায় নব্বই ডিগ্রি ঘুরে ডান পায়ে দারুণ গোলটি করেন তিনি।
এবারের লা লিগায় মেসির এটা পঞ্চদশ গোল। ২৫ গোল করে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
এই জয়ে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের এক পয়েন্টের ব্যবধানে এল ১৬ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট পাওয়া বার্সেলোনা। ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ায় এ বছরে লা লিগায় আর কোনো ম্যাচ নেই রিয়ালের। ১৫ ম্যাচে কার্লো আনচেলত্তির দলের সংগ্রহ ৩৯ পয়েন্ট।