বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রীতি ম্যাচে জাপানের তরুণ দলের কাছে দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল হজম করে বাংলাদেশ। ৫৯তম মিনিটে আসানো তাকুমার গোলে জাপান এগিয়ে যায়। এই গোলই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলে জানান টিটো।
“আমাদের খেলোয়াড়দের যে রকম ফিটনেস; তাতে আমি মনে করেছিলাম, ৭০-৮০ মিনিট পর্যন্ত তারা টিকে থাকতে পারবে। কিন্তু তা হলো না। ওদের প্রথম গোলটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আমার মনে হয়, প্রথম গোলটার পর আমাদের ছেলেরা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।”
প্রতি-আক্রমণের কৌশল যে কাজে দেয়নি, সেটাও বলেন টিটো।
“আমার আশা ছিল, প্রথমার্ধে আমরা যেভাবে খেলেছি, সেটা দ্বিতীয়ার্ধেও ধরে রাখব; কিন্তু সেটা আমরা পারিনি। কাউন্টার অ্যাটাকের কৌশল নিয়েছিলাম আমরা; কিন্তু সেটাও কাজে দেয়নি।”
জাপানের তরুণ দলটির কাছে বড় ব্যবধানে হারের হতাশাও আড়াল করেননি কোচ। তবে দলের দুঃসময়ে সমর্থকদের পাশে থাকার অনুরোধ করেছেন তিনি।
“সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আমি বলব, তারাই সাপোর্টার যারা দুঃসময়ে দলের পাশে থাকে।”
আগামী জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজন করবে বাংলাদেশ। এ আসরের আগে আরো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার প্রয়োজনের কথা জানান টিটো।
বাংলাদেশের জাতীয় দলকে হারাতে পেরে দারুণ খুশি জাপানের অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ তেগুরামোরি মাকোতো।
“প্রথমার্ধে গোলশূন্য হওয়ার পর ছেলেদের বলেছিলাম বিচলিত না হতে। তারা বিচলিত হয়নি। যে ফল হয়েছে, তাতে আমি পরিতৃপ্ত।”
বাংলাদেশ দলকে পরোক্ষভাবে একটা পরামর্শও দিলেন জাপান কোচ।
“দেখলাম, ওদের কেউ বল পেলে তার জন্য কেবল অতিরিক্ত একজন থাকে; কিন্তু আমাদের কেউ বল পেলে তার পেছনে তিনজন থাকে। এটা হলে প্রতিপক্ষের জন্য বল কেড়ে নেয়া কঠিন হয়।”