জাপানের তরুণদের কাছে বাংলাদেশের শোচনীয় হার

দুর্বল রক্ষণভাগ ও অগোছালো ফুটবল খেলার চড়া মাশুলই গুণল বাংলাদেশ জাতীয় দল। জাপানের অনূর্ধ্ব-২১ দলের কাছে প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছে স্বাগতিকরা।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2014, 03:02 PM
Updated : 18 Dec 2014, 03:53 PM

বাংলাদেশ দলের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আসা প্রায় কুড়ি হাজার দর্শককে হতাশ হয়েই ঘরে ফিরতে হয়।

সবগুলো গোলই দ্বিতীয়ার্ধে হজম করে বাংলাদেশ জাতীয় দল। জাপানের তরুণ দলের দুই স্ট্রাইকার আসানো তাকুমা দুটি ও মিনামিনো তাকুমি একটি করে গোল করেন।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল জাপান। তবে সতীর্থের ক্রসে ডি বক্সের বাম দিকে ফাঁকা জায়গায় থাকা অতিথি দলের ফরোয়ার্ড মিনামিনো তাকুমি বলে পা লাগাতে পারেনি।

শুরু থেকে গোছালো ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা জাপানের তরুণরা একটু পরই আরেকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে। আরানো তাকুমার কর্নার থেকে পাওয়া বল জাপানের এক ফুটবলার বাংলাদেশের জালে পাঠালেও অফ সাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।

ষোড়শ মিনিটে রাসেল মাহমুদের একটি অসাধারণ সেভ বাংলাদেশকে বিপদমুক্ত রাখে। সতীর্থের বাড়ানো বল ডি বক্সের ভেতরে পেয়ে গিয়েছিলেন আরানো। জাপানের এই তরুণ ফরোয়ার্ডের শট আটকে দেন রাসেল। দুই মিনিট পর মিনামিনো তাকুমির সরাসরি শটও রুখে দেন স্বাগতিক দলের গোলরক্ষক।

৩৮তম মিনিটে জাপানের মিডফিল্ডার ইয়াজিমা শিয়ার শট শেষ মুহূর্তে ফিরিয়ে দেন ইয়ামিন আহমেদ চৌধুরী। ইয়াজিমার শট গোলরক্ষক ফাঁকি দিলেও রাসেলের পেছনে ঠিক থাকা ইয়ামিন বল বিপদমুক্ত করেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে আক্রমণে বাংলাদেশকে কোণঠাসা রাখে জাপান। ৫৯তম মিনিটে আরানো তাকুমার বদলি হিসেবে নামা আসানো তাকুমার গোলে এগিয়ে যায় জাপান। লম্বা একটি পাস ধরে বাম কোনা দিয়ে মাপা শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন জাপানের অনূর্ধ্ব-২১ দলের এই স্ট্রাইকার।

৬২তম মিনিটে স্ট্রাইকিংয়ে পরিবর্তন আনেন বাংলাদেশ কোচ সাইফুল বারী টিটো। জাহিদ হাসান এমিলিকে তুলে শাখাওয়াত হোসেন রনিকে নামান তিনি। এর নয় মিনিট পর স্ট্রাইকার জাহিদ হোসেনকে তুলে নিয়ে মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজুকে নামান কোচ। কিন্তু তাতেও স্বাগতিকদের খেলায় গতি ফেরেনি।

৭২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় জাপান। ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মিনামিনো তাকুমা। গোলটিতে অবদান রাখেন প্রথম গোল করা তাকুমা। এর তিন মিনিট পরই দ্বিতীয় গোল করে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন তিনি।

তিন গোল খাওয়ার পর রক্ষণভাগের শক্তি আরো বাড়ান বাংলাদেশ কোচ। অধিনায়ক মামুনুলকে তুলে নিয়ে ডিফেন্ডার তপু বর্মনকে নামান তিনি। কিন্তু ততক্ষণে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শেষ হয়ে গেছে।

এই ম্যাচের আগে নেপালের বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচে একটিতে জেতে ও অন্যটিতে হারে মামুনুলের দল। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা দুই ম্যাচে প্রথমটিতে ড্র করলেও দ্বিতীয়টিতে জিতেছিল স্বাগতিকরা। এবার শোচনীয়ভাবে হারতে হলো টিটোর দলকে।