মেসির অনন্য হ্যাটট্রিকে বার্সার সহজ জয়

অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক করার পথে ইতিহাস গড়েছেন লিওনেল মেসি। ক্লাবের হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে প্রথম গোলের স্বাদ পেয়েছেন লুইস সুয়ারেস। দুই তারকার নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আপোয়েলকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2014, 10:19 PM
Updated : 25 Nov 2014, 10:19 PM

মঙ্গলবার রাতে আপোয়েলের মাঠে শুরুর একাদশে ছিলেন না ব্রাজিলের তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার। তবে মেসি-সুয়ারেস তার অভাব বুঝতে দেননি।

বার্সেলোনা শুরু থেকেই প্রভাব বিস্তার করে খেললেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। চতুর্দশ মিনিটে অবশ্য এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল অতিথিদের, কিন্তু লক্ষ্যে হেড রাখতে পারেননি রাকিতিচ।

তবে ২৭তম মিনিটে দারুণ এক গোলে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন সুয়ারেস। বল পেয়ে এক ঝটকায় মার্কারকে ফাঁকি দিয়ে কোনাকুনি শট নিয়েছিলেন উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ড। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে খানিকটা দিক পাল্টে বল জালে জড়িয়ে যায়।

বার্সেলোনার হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এটাই সুয়ারেসের প্রথম গোল।

এরপর ইতিহাস গড়তে বেশি সময় নেননি মেসি। ৩৮তম মিনিটে রাফিনার বাড়ানো বল ডান পায়ের টোকায় দিক পাল্টে জালে ঠেলে দেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।

এই গোলে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ড রাউল গনসালেসকে ছাড়িয়ে এককভাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যান মেসি। ম্যাচ শুরুর আগে ৭১টি গোল নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ফরোয়ার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তিনি।

বিরতির আগে গোলের একটি সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেস।

৫২তম মিনিটে ট্রেডমার্ক দৌড়ে আরেকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন মেসি। তবে তার পাসে পেদ্রোর শট দূরের পোস্টের কয়েক ইঞ্চি পাশ দিয়ে চলে যায়।

৫৮তম মিনিটে আবারও নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোল পান মেসি। দানি আলভেস ডি বক্সের ভেতরে থাকা মেসিকে দারুণ এক পাস দিয়েছিলেন। এবারও ডান পায়ের আলতো টোকায় এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।

৬৬তম মিনিটে প্রথম গোলে শট নিতে পারে আপোয়েল। তবে বদলি হিসেবে নামা তমাস দি ভিনসেন্তির জোড়ালো শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনার জার্মান গোলরক্ষক টের স্টেগেন।

৭০তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের পর লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সেলোনার রাফিনাকে। একটু পরে তাই সুয়ারেসকে উঠিয়ে রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার সের্হিও বুসকেতসকে নামান কোচ লুইস এনরিকে।

৮৪তম মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় আপোয়েলের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার জোয়াও গিলেরমেকে। দুই দলই পরিণত হয় দশ জনের দলে।

৮৭তম মিনিটে অনন্য হ্যাটট্রিকটি পূর্ণ করেন মেসি। বাঁ দিকে থেকে পেদ্রোর পাসে আবারও ডান পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন ফাঁকায় দাড়িয়ে থাকা মেসি।

অসাধারণ এই হ্যাটট্রিক করতে সবগুলো গোলই মেসি করলেন তার কম ব্যবহৃত ডান পায়ে। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯২ ম্যাচে মেসির গোল হলো ৭৪টি।

এফ গ্রুপের অন্য ম্যাচে এদিনসন কাভানি ও জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের নৈপুণ্যে নিজেদের মাঠে আয়াক্স আমস্টারডামকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।

১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়নরা। আর ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা।

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা পিএসজি ও বার্সেলোনা গ্রুপের শেষ ম্যাচে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।