অস্ট্রিয়াকেও হারাল দুরন্ত ব্রাজিল

বিশ্বকাপের পর বদলে যাওয়া ব্রাজিলের জয়রথ থামাতে পারল না অস্ট্রিয়াও। ইউরোপের দলটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা ছয়টি ম্যাচ জিতল দুঙ্গার শিষ্যরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2014, 08:26 PM
Updated : 18 Nov 2014, 11:23 PM

মঙ্গলবার ভিয়েনায় ব্রাজিলকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় গোল-বঞ্চিত রেখেছিল স্বাগতিকরা। তবে দাভিদ লুইস আর ফিরমিনোর গোলে জয় পেতে অসুবিধা হয়নি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে অবশ্য ব্রাজিলের জালে বল ঢুকিয়েছিলেন রুবিন ওকোটি। তবে মাথা দিয়ে বলের নাগাল না পেয়ে হাত ব্যবহার করায় হলুদ কার্ড দেখতে হয় অস্ট্রিয়ার এই স্ট্রাইকারকে।

২৮তম মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিল ডিফেন্ডার মিরান্দা। তার বদলে নামেন ব্রাজিল বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেয়া চিয়াগো সিলভা।

প্রথমার্ধে দুই দলই আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ চালালেও গোলের কোনো ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও আক্রমণে গেলেও গোল পাচ্ছিল না ব্রাজিল। নেইমার-অস্কারদের পায়ের কাজ চোখ জুড়ালেও ফল আসছিল না। অবশেষে দাভিদ লুইসের গোলে সাফল্যের দেখা পায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

৬৪তম মিনিটে অস্কারের কর্নার থেকে হেডে অস্ট্রিয়ার জালে বল জড়ান লুইস। দেশের হয়ে এটা পিএসজি ডিফেন্ডারের তৃতীয় গোল।
৭৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। ডি বক্সের ভেতর ভাইমানকে অস্কার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান সেন্টারব্যাক আলেক্সান্দ্রো দ্রাগোভিচ। দেশের হয়ে এটা তার প্রথম গোল।
বিশ্বকাপের পর এই প্রথম ব্রাজিলের জালে বল ঢুকলো। আগের পাঁচটি ম্যাচে ১২টি গোল দিলেও কোনো গোল খায়নি ব্রাজিল।
তবে আবার এগিয়ে যেতেও সময় নেয়নি ব্রাজিল। ৮৪তম মিনিটে নেইমার দারুণ এক পাস দেন ফেলিপে লুইসকে। তার কাছ থেকে বল পেয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে জোড়ালো শটে বল জালে জড়ান ফিরমিনো।

হফেনহাইমের এই মিডফিল্ডারের এটাই ব্রাজিলের হয়ে প্রথম গোল। দেশের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তিনি।

বিশ্বকাপের হতাশা কাটিয়ে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দুঙ্গার ব্রাজিল। এ নিয়ে টানা ছয়টি ম্যাচে জিতলো তার শিষ্যরা।

এর আগে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, জাপান, তুরস্কের বিপক্ষে জিতেছিল দুঙ্গার দল।

আর গত নয় ম্যাচ ধরে অপরাজিত অস্ট্রিয়া অবশেষে হারের স্বাদ পেল। ব্রাজিলের বিপক্ষে আর জেতা হলো না তাদের। আগের ৮ বারের সাক্ষাতে ৫ বার হেরেছিল তারা; ৩টি ম্যাচ হয় ড্র।