২-১ গোলের এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান আরো জোরদার হলো চেলসির। আর লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরে শিরোপা লড়াইয়ে অনেকটাই ছিটকে গেল গতবারের রানার্সআপ লিভারপুল।
গত এপ্রিলে জোসে মরিনিয়োর এই দলের কাছে হেরে গেল মৌসুমে শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিল লিভারপুল। আর চলতি মৌসুমের শুরু থেকে তো ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে স্টিভেন জেরার্ডরা। তবে এই মৌসুমে অপরাজিত চেলসির বিপক্ষে শনিবার শুরুটা ভালোই করে স্বাগতিকরা।
অ্যানফিল্ডে নবম মিনিটে জার্মানির মিডফিল্ডার এমরে কানের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এই গোলে ভাগ্যের সহায়তা ছিল যথেষ্ট। ডি বক্সের অনেকটা বাইরে রাহিম স্টার্লিংয়ের পাস পেয়ে কিছুটা দৌড়ে এসে জোরালো কোনাকুনি শট নেন ২০ বছর বয়সী কান। কিন্তু বলটি সামনে থাকা চেলসির ডিফেন্ডার গ্যারি ক্যাহিলের গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। গোলরক্ষক থিবো করতোয়ার কিছুই করার ছিল না।
বেশিক্ষণ অবশ্য এগিয়ে থাকতে পারেনি লিভারপুল। পাঁচ মিনিট বাদেই ক্যাহিলের গোলে সমতায় ফেলে চেলসি। কর্নারে জটলা থেকে জন টেরির হেড ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক সিমোন মিগনোলেত। ফিরতি বল পেয়ে জটলার মধ্যে থেকে শট নেন ক্যাহিল। সেটাও ধরে ফেলেন বেলজিয়ামের ওই গোলরক্ষক; কিন্তু গোল লাইন প্রযুক্তিতে ধরা পড়ে, বলটি গোল লাইন পার হয়ে গেছে।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিলেন লিভারপুলের স্টার্লিং। কিন্তু ইংলিশ মিডফিল্ডারের শটটি বাঁদিকে ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। পাল্টা আক্রমণ থেকে খানিক পরেই সুযোগ পায় চেলসি কিন্তু এডেন হ্যাজার্ড সাফল্য পাননি।
৬৭তম মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণ থেকে চেলসিকে এগিয়ে দেন মৌসুমের শুরু থেকে দারুণ খেলা দিয়েগো কস্তা।