ফিফা ও ফ্রান্স ফুটবল মঙ্গলবার মনোনীত ২৩ ফুটবলারের নাম ঘোষণা করার পর রিয়াল মাদ্রিদের কোচ তার মত জানালেন।
“সিআরসেভেন (রোনালদো) ব্যালন ডি'অর জিতবে”
নিজের বিশ্বাসের পক্ষে যুক্তিও দেখান আনচেলত্তি।
“ব্যালন ডি'অর নিয়ে সবসময়ই অনেক কথা হয়। কিন্তু এ বছর চিন্তা করার কিছু নেই। গত বছর রিবেরি ও মেসি দৌড়ে ছিল। কিন্তু এ বছর গোল করা আর গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা জয় করায় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ব্যালন ডি’অর জেতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”
ব্রাজিল বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো খেলতে না পারলেও গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন রোনালদো। স্পেনের লা লিগায় করে ৩১ গোল করেন। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গড়েন এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড (১৭টি)।
আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও মনোনীতদের তালিকায় থাকা লিওনেল মেসি বার্সেলোনার হয়ে তেমন কিছুই জিততে পারেননি। আর বার্সেলোনার মেসির সতীর্থ নেইমার নিজের দেশের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে পারেন। এরপর চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। আর সেমি-ফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে বিদায় নেয় তার দল।
ফিফা-ব্যালন ডি'অরের ২৩ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় অবশ্য বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানির ৬ জন ফুটবলার আছেন - মারিও গোটসে, ফিলিপ লাম, টমাস মুলার, বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার ও মানুয়েল নয়ার।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত তিন জনের নাম ঘোষণা করা হবে আগামী ১ ডিসেম্বর।
চারবারের সেরা মেসিকে হারিয়ে ২০১৩ সালের ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন রোনালদো।
ফ্রান্স ফুটবল ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিত। ২০০৭ সাল থেকে পুরস্কারটি দেয়া হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।
২০১০ সাল থেকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে একীভূত হয়ে এর নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। বিজয়ীরা নির্বাচিত হন জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচ এবং ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের বাছাই করা ক্রীড়া সাংবাদিকের ভোটে।