লিগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটির এটা দ্বিতীয় হার। প্রথম ম্যাচে স্টোক সিটির কাছে একমাত্র গোলে হারলেও পরের সাতটি ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা। ইউরোপ সেরার মঞ্চে গত মঙ্গলবার সিএসকেএ মস্কোর মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল সিটি।
শনিবার প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমনে মনোযোগী ছিল সিটি। পাল্টা আক্রমণে ওয়েস্ট হ্যামও পিছিয়ে ছিল না। তবে এগিয়ে যাওয়ার কাজটা ২২তম মিনিটেই সেরে নেয় স্বাগতিক ওয়েস্ট হ্যাম।
ডান দিক থেকে বল পায়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে এক জন খেলোয়াড়কে এড়িয়ে আড়াআড়ি পাস দেন অ্যালেক্স সং। আক্রমণ প্রতিহত করতে এগিয়ে এসেছিলেন ডিফেন্ডার পাবলো সাবালেতা কিন্তু বলের লাইন থেকে একটু বেশিই এগিয়ে যান তিনি। বল পেয়ে যান অরক্ষিত মর্গান আমালফিতানো। আলতো টোকায় বল জালে পাঠান ফরাসি এই মিডফিল্ডার।
এগিয়ে যাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা ওয়েস্ট হ্যামের আক্রমণভাগ অতিথিদের রক্ষণে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। ম্যাচে ফিরতে সিটিও মরিয়া হয়ে ওঠায় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। কিন্তু উভয় দলই বারবার ব্যর্থ হওয়ায় বিরতির আগে স্কোর লাইনে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬১তম মিনিটে পরপর দুটি ভালো সুযোগ পায় সিটি। কিন্তু ব্যর্থতার গণ্ডি থেকে বেরোতে পারেনি সের্হিও আগুয়েরো ও এদিন জেকোরা।
৬৫তম মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আবারো জোড়া সুযোগ হারায় সিটি। প্রথমে দাভিদ সিলভার পাস থেকে নেয়া আগুয়েরোর শটটি ক্রসবারে লাগে। ফিরতি বলে শট নিয়েছিলেন ইয়াইয়া তোরে কিন্তু গোলরক্ষকের পরাস্ত করতে পারেননি তিনি।
৭৪তম মিনিটে আবারো দুর্ভাগ্যের শিকার হয় সিটি; আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার তোরের শট ক্রসবারে লাগে।
পাল্টা আক্রমণ থেকে পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ওয়েস্ট হ্যাম। সেনেগালের স্ট্রাইকার দিয়াফরা সাকোর হেড বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন সিটির গোলরক্ষক হার্ট। কিন্তু গোল লাইন প্রযুক্তিতে ধরা পড়ে, বল গোল লাইন অতিক্রম করেছিল।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার তিন মিনিট পরে ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ে ফেরার আশা জাগায় সিটি। কয়েকজন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে বা পায়ের দারুণ শটে বল জালে জড়ান স্পেনের খেলোয়াড় সিলভা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরেকটি গোল করা হয়নি সিটির। যোগ করা সময়ে বদলি স্ট্রাইকার স্তেভান ইয়োভেতিচের জোরালো শট ওয়েস্ট হ্যামের গোলরক্ষক লাফিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিলে লিগে দ্বিতীয় হারের লজ্জায় মাঠ ছাড়তে হয় সিটিকে।