শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের পক্ষে

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের প্রীতি ম্যাচে নামার আগে অনেক কিছুই মামুনুলদের পক্ষে আছে। নিজেদের মাঠ, দর্শক, এমনকি পরিসংখ্যানও এগিয়ে রাখছে বাংলাদেশকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2014, 04:31 PM
Updated : 23 Oct 2014, 04:37 PM

শুক্রবার যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এটি হবে দুই দলের ত্রয়োদশ ম্যাচ। আগের ১২ ম্যাচের ৮টিতে জিতেছে বাংলাদেশ; শ্রীলঙ্কার জয় ৩টিতে। বাকি ম্যাচটিতে ছিল সমতা।

দুই দলের সর্বশেষ ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা সুখের হয়নি। ২০১০ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে কলম্বোর ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার কাছে ৩-০ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ।

তবে প্রায় চার বছর আগের ওই ম্যাচ নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না বাংলাদেশ কোচ টিটো। প্রতিপক্ষ কোচ নিকোলা কাভাজোভিচ কঠিন লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেও পাল্টা ঘোষণা দিচ্ছেন না তিনি। তবে বৃহস্পতিবার যশোর পুলিশ লাইনের মাঠে ছাত্রদের অনুশীলন করানোর এক ফাঁকে দুর্ভাবনার কথা জানালেন তিনি।

“পুরোটা সময় মনোযোগ রাখা দরকার। ওদের দলটি তরুণ হলেও আমরা যেন কোনোভাবে ম্যাচে মনোযোগ না হারাই, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।”

চোট নিয়ে টিটোর খুব বেশি দুঃশ্চিন্তা নেই। হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন। চোটের কারণে গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দল থেকে শেষ মুহূর্তে ছিটকে পড়া মোনায়েম খান রাজু ফেরায় স্বস্তি বেড়েছে কোচের।

“লম্বা বিরতির পর দলে ফিরেছে রাজু। খুশির খবর হচ্ছে, সে আগেও যেমন ছন্দে ছিল, এখনো তেমনি আছে। তাই দলের মাঝ মাঠ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে না।”

আসলে তরুণ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিজ্ঞ বাংলাদেশের দুঃশ্চিন্তার জায়গা ওই একটাই-পুরো নব্বই মিনিট মনোযোগ ধরে রাখা; এশিয়ান গেমসের আগে নেপালের বিপক্ষের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে যেটা পারেনি মামুনুলের দল। ঢাকার ম্যাচে নেপালকে হারালেও সিলেটের ম্যাচে নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক অবশ্য আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন; বলেছেন, নেপালের বিপক্ষে ভুলের পুনরাবৃত্তি এবার হবে না।