যশোরে টিকেটের জন্য হাহাকার

কলেজ পড়ুয়া আরিফ মহা সৌভাগ্যবানদের একজন। অনেক চেষ্টায় যশোরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের একটি টিকেট পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি দেখতে আসা আরিফ জানালেন, মামুনুলদের জয় দেখতেই মাঠে আসবেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2014, 04:01 PM
Updated : 23 Oct 2014, 04:07 PM

শুক্রবারের এই ম্যাচের টিকেট পাননি মাসুদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সামনে। ভর্তিযুদ্ধে নামার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতেই তার সময় পার। তারপরও অনেক আশা নিয়ে আরো দুই বন্ধুর সঙ্গে টিকেট কিনতে এসেছিলেন তিনি। লাভ হয়নি; দুই দিন ঘুরেও টিকেট না পেয়ে হতাশ মাসুদ। তবে শামস উল হুদা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার সুযোগ না পেলেও দলের জয়টা কায়মনে চাইছেন তিনি।

যশোরের আরেক তরুণ কামরুজ্জামান জানালেন কালোবাজারে ৫০ টাকার টিকেট ৫০০ টাকা, ৩০ টাকার টিকেট ১০০ টাকা।

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার শুক্রবারের প্রীতি ম্যাচ নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই যশোরে। সাধারণ গ্যালারি ২০ টাকা, ভিআইপি ৫০ টাকা ও ভিভিআইপি গ্যালারির টিকেটের দাম ২০০ টাকা নির্ধারণ করেছিলেন আয়োজকরা। সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।

আসলে আয়োজকরাও নিরুপায়। যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু বললেন, “১২ হাজার টিকেটই বিক্রি হয়ে গেছে। অল্প কিছু টিকেট আমরা রেখেছি, যাদের না দিলেই নয়, তাদেরকে দিতে হবে।”

জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য, শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে বারো হাজারের মত লোক গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারবেন। আবার তারাই বলছেন, শুক্রবার সব মিলিয়ে দর্শকের সংখ্যা হবে পনের হাজার মতো। বৃহস্পতিবার স্টেডিয়াম ঘুর দেখা গেল দর্শক বাড়তে পারে আশঙ্কা করে মাঠের ভেতরে বাঁশ দিয়ে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা বেষ্টনী দেয়া হয়েছে।

সাবধান হওয়ার কারণও আছে। এশিয়ান গেমসের আগে বাংলাদেশ-নেপাল প্রস্তুতি ম্যাচে সিলেট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েছিল দর্শক। বিপত্তি না ঘটলেও বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

মিঠু জানান, নেপালের বিপক্ষের ওই ম্যাচের মতো পরিস্থিতি যেন যশোরে না হয়, সে ব্যবস্থাই নিচ্ছেন তারা।

“তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যাতে বাইরের কেউ মাঠে ঢুকতে না পারে।”

ফুটবলপ্রেমীদের জন্য বিশাল পর্দার ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন আয়োজকরা।

“দিনের বেলায় খেলা হওয়ার কারণে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখা কঠিন হবে। তার পরও এটার ব্যবস্থা করার কথা ভেবে রেখেছি আমরা।”

যারা মাঠের বাইরে বড় পর্দাতেও দেখা দেখতে পাবেন না, তাদের জন্য আছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশন চ্যানেলটি বেলা সোয়া তিনটায় শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।