ছয় গোল করেও চাওয়া পূরণ না হওয়ার কথা ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন মনিকা।
“বেশি গোলের ব্যবধানে জয় পাওয়ার লক্ষ্য ছিল। ইরান তাদের ৯ গোল দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ১২ গোল দেয়া।”
জর্ডানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে জয় এনে দেয়া গোলটি করেন সানজিদা আখতার। আমিরাতের বিপক্ষে দুই গোল করেছেন তিনি। তবে হ্যাটট্রিক না পাওয়ার হতাশাও আছে তার।
“হ্যাটট্রিক করলে আরও ভাল লাগত। তবে দল জিতেছে ওটাই সবচেয়ে বড় কথা। ভাল কিছু করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
তবে দলের পারফরম্যান্সে খুশি কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে ছিল। এ ম্যাচের জয়টাই আমাদের প্রত্যাশিত ছিল। পরের ম্যাচগুলোতেও এই খেলাটা ধরে রাখার চেষ্টা করবো।”
বড় ব্যবধানে হারলেও প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাত কোচ সামির ল্যান্ডলসি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে এসে আমিরাত কোচ জানালেন, ৬-০ গোলে হারের চেয়ে ‘ভালো কিছু’ আশা করেননি তিনি।
“বাংলাদেশ খুব ভাল দল। জর্ডানের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের খেলা দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম, তাদের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এর চেয়ে ভাল ফল আশা করা যায় না।”
এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে হারল আমিরাত। আগের ম্যাচে ইরান তাদের জালে ৯ গোল করেছিল। দুই ম্যাচে ১৫ গোল হজমের পর আমিরাত কোচ বললেন, “আমরা মূলত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার জন্য এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছি। আর আমাদের দলটি মাত্র এক মাসের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। এ দলটি মূলত অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলারদের নিয়ে গড়া।”