মঙ্গলবার ‘এফ’ গ্রুপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বার্সেলোনাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। জয়ী দলের পক্ষে একটি করে গোল করেন দাভিদ লুইস, মার্কো ভেরাত্তি ও ব্লেইস মাতুউদি।
নিজেদের মাঠে দশম মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন লুইস। লুকাস মউরার ফ্রি-কিকের বল ডি বক্সে খুঁজে পায় চলতি মৌসুমেই চেলসি থেকে পিএসজিতে যোগ দেয়া ডিফেন্ডার লুইসকে। তার ঠিক পেছনেই ছিলেন হাভিয়ের মাসচেরানো। তাকে ফাঁকি দিয়ে অতিথিদের জালে বল পাঠিয়ে দেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার লুইস।
চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার জালে এটাই প্রথম গোল। ৬৪০ মিনিট পর কেউ ভাঙল স্পেনের অন্যতম সফল দলটির জমাট রক্ষণ।
সমতা ফেরাতে বেশি সময় নেয়নি বার্সেলোনা। দুই মিনিট পরই অতিথি শিবিরে স্বস্তি ফেরান মেসি। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে কোনাকুনি শটে পিএসজির জাল খুঁজে নেন তিনি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার এটি পাঁচশতম গোল।
সমতা ফেরানোর স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকেনি অতিথি শিবিরে। ২৭তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় পিএসজি। চিয়াগো মোত্তার কর্নার থেকে অতিথিদের জালে বল পাঠান ভেরাত্তি।
এগিয়ে এসে তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান। আর পিছিয়ে গিয়ে চেষ্টায় ছিলেন ইভান রাকিতিচ। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন ইতালির মিডফিল্ডার ভেরাত্তি। পিএসজির হয়ে এটাই তার প্রথম গোল।
৫৪তম মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়ায় পিএসজি। ফন ডান উইলের ক্রসে পা ছুঁইয়ে স্কোর লাইন ৩-১ করে ফেলেন মাতুউদি।
তবে দুই মিনিটের মধ্যে ব্যবধান কমান নেইমার। দানি আলভেসের কাছ থেকে বল পেয়ে সালভাতোরে সিরিগুকে পরাস্ত করেন ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ড।
৬৯তম মিনিটে রাকিতিচের বদলি নামেন জাভি। সেই সঙ্গে গড়েন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় এটি তার ১৪৩তম ম্যাচ।
সমতা ফেরাতে চেষ্টার কমতি ছিল না বার্সেলোনার। কিন্তু বাকি সময়ে স্বাগতিকদের রক্ষণ ভাঙতে পারেননি মেসি-নেইমার-সান্দ্রো-মুনিররা। তাই মৌসুমের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেতে হল তাদের।
নতুন কোচ লুইস এনরিকের অধীনে এটাই বার্সেলোনার প্রথম পরাজয়।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে আয়াক্সের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে আপোয়েল নিকোশিয়া।
২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে পিএসজি। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে বার্সেলোনা।